রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন নামি-দামি বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বাজারজাত করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্যাকেট, টিউব, রঙ সবই আসলের মতো কিন্তু তা চেনার কোনো উপায় নেই। আর এসব পণ্য বেশি দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এছাড়া অনেক ক্রেতারা দাম কম ভেবে এগুলো কিনছেন কিন্তু এর ব্যবহার করে অজান্তে নিজেরই ক্ষতি করছেন। এবং কোন কোন দোকানীর কাছে ক্রেতারা কখনো অভিযোগ করে তা তাকে বলা হয় কোম্পানি যা দিয়েছে তাই বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতা আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না। তারা সঠিক দাম দিয়ে কিনে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এদিকে, পুঠিয়া উপজেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল কসমেটিক তৈরি কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালিক মাসুদ রানাসহ পাঁচজনকে আটক করেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। এ সময় নামি-দামি দেশি-বিদেশি কোম্পানির নয় প্রকারের বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ভারতীয় পতেঞ্জলি কোম্পানির বিভিন্ন কসমেটিকস বেশি জব্দ করা হয়। এছাড়া নাটোর,নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় শত শত নকল কসমেটিক তৈরি কারখানা রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এসব প্রসাধনী ব্যবহারে চর্মরোগ, স্কিন ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগের প্রবণতা বাড়ছে। জানাগেছে,উপজেলার তাহেরপুর েেপৗরসভার কলেজ রোডে সালাম মার্কেট,ইস্কুল মার্কেট,নিউ মার্কেট এবং কসমেটিকপট্রিসহ বিভিন্ন যায়গায় গড়ে উঠা দোকান গুলোতে বেশি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দোকানীরা নকল প্রশাধনী সুন্দরভাবে থাকে থাকে সাজিয়ে রাখছেন। ফলে প্রসাধনীর দোকান গুলোতে চাকচিক্যভাবে শোভা পাচ্ছে এসব পণ্য। এগুলো ব্যবহার করে মানুষ চর্ম রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। প্রতিনিয়ত সাবান, লিপিস্টিক, নেইল পলিশ, বডি স্প্রে, সুগন্ধি, লোশন, নারিকেল তেল, আফটার সেভ লোশন, সেভিং ক্রীম,টুথপেসসহ বিভিন্ন ধরনের রূপ ও ত্বক চর্চার প্রসাধনী পণ্য নকল ও ভেজাল হচ্ছে। ফলে ভুক্তভোগীরা এসব নকল কসমেটিকস সামগ্রী কিনে দিনের পর দিন প্রতারিত হচ্ছে।