নাটোর প্রতিনিধি : করোনার তথ্য সংগ্রহ করার সময় নাটোর সদর হাসপাতালের আরএমও- -২ ডাঃ মুনজুর রহমান কাছে মারাত্নক আশোভন আচরনের শিকার হয়েছেন নাটোরের সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার হায়দার জোসেফ।এতে করে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে।করোনাকালীন সময়ে দেশের প্রথম সাড়ির যোদ্ধা হিসাবে চিকিৎসক,পুলিশ,জনপ্রশাসনের মাঠ কর্মকর্তা,সাংবাদিক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছেন।যাতে সম্মিলিত চেষ্টায় করোনা মহামারি থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে সহযোগিতা করা যায়।এ অবস্থায় নাটোরের একজন স্বাস্থ্য সেবা কর্মকর্তারা কাছে এমন আচরন সমন্বয়ের বন্ধনে ফাটল সৃষ্টি করাবে বলে মনে করছেন সুশিল সমাজ।এটিএন বাংলার নাটোর জেলার দায়িত্বরত সনিয়ির সাংবাদিক জুলফিকার হায়দার জোসেফ জানান,নাটোর সদরের করোনার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তিনি প্রথমে সদর হাসপাতালের আরএমও -১ ডাঃ আমিনুল ইসলামের কাছে ফোন করেন।ডাঃ আমিনুল সাংবাদিক জোসেফকে আরএমও -২ ডাঃ মুনজুর রহমানের সাথে কথা বলতে বলেন।মুনজুকে ফোন করে করোনার তথ্য চাওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিক জোসেফ ডাক্তার মুনজুকে বলেন,”অন্য উপজেলার তথ্য সহজে পাওয়া যায় অথচ নাটোর সদরের তথ্য ঠিকমত পাওয়া যায়না।আপনারা কি যে করেন’এমন কথা বলার সাথে সাথে ডাক্তার মুনজুর সাংবাদিককে ধমকানো শুরু করেন।এসময় সাংবাদিক জোসেফ বলেন,আপনি দুর্ব্যবহার করছেন কেন,অন্য সাংবাদিকরা এখানে আছে তারা শুনছে’।একথা শুনে ডাক্তার মুনজু আরো উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকরা শুনলে কি হয়েছে বলে ফোনেই চিৎকার করতে থাকেন।এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান ও সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ আনসারুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।এ ব্যাপারে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান,এ ধরনের দুঃখ জনক ঘটনার ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।