পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মৌমিতা পারভীন (৩০) নামে একজন গৃহবধূ গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কালিকাদড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মৌমিতা ওই গ্রামের কামরুল ইসলামের স্ত্রী। কামরুল পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মাস আগে আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কামরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের শবদেল আকন্দের মেয়ে মৌমিতার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মৌমিতার এটি দ্বিতীয় বিবাহ ও সে এক সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকেই কামরুলের সঙ্গে মৌমিতার বনিবুনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হতো। একপর্যায়ে গতকাল সোমবার কামরুল এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলনের কথা বলে কৌশলে মৌমিতার কাছ থেকে তালাকের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেয়। গতকাল কামরুল বিষয়টি গোপন রাখলেও আজ সকালে তার স্ত্রীকে তালাকের কথা বলে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এরপর কামরুল সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। একপর্যায়ে মৌমিতা সবার অজান্তে বাড়িতে থাকা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। তখন প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা বাজারে বাবুল আক্তার নামে একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। এসময় ওই পল্লী চিকিৎসক মৌমিতাকে মৃত ঘোষণা করলে মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে মৌমিতা নিজেই তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে কামরুল। কালিকাদহ গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, কামরুল এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে মৌমিতা আত্মহত্যা করে। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর বিষয়ে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।