আমার ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন আনোয়ারুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বিএসএফ‘র ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে হত্যাকারীরা।
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমিজমা সংক্রান্তের বিরোধে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার আনোয়ারুলের ছোট বোন নাসিমা আক্তার উপরোক্ত অভিযোগ করেছেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, জমি ও পুকুর দখলের লক্ষে দিনাজপুর সদরের স্বরস্বতিপুর গ্রামের মো: মো: সফিউদ্দীনের পুত্র সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম.মো: আব্দুর রহমানের পুত্র মো: মিজানুর রহমান ওরফে নেউল,মো: লুতফর রহমানের পুত্র মো: মোস্তফাসহ আরো ৮/৯ জন গত ২১ জুন সন্ধ্যা ৭ টায় আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আনোয়ারুলকে তুলে নিয়ে যায়।
রাতে অনেক খোজাখোজির পরেও ওই রাতে ভাইকে খুজে না পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে জানানো হয় তিনি আশ্বাস দেন খবর পাইলে জানাবে। পরের দিন সকাল সাড়ে ৬ টায় মেম্বার ফোন করে জানান জুলুকাপাড়া গ্রামের হাসানের জমিতে আনোয়ারুলের লাশ পরে আছে। সেই দিনেই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা প্রচার করে বেড়ায় বিএসএফ আনোয়ারুলকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএসএফ এই হত্যাকান্ডের ধারে কাছেও নেই।
আমরা এব্যাপারে মামলা করেছি যার নং ৫৪ তাং ২৮/০৬/২০। মামলা করার পরও পুকুর ও জমি থেকে সরে যাওয়ার জন্যে সাইফুল ও তার সন্ত্রাসীরা মামলার বাদীসহ আমার পরিবারের অন্যদের হত্যা করে লাশগুম করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিপূর্বে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আমার চাচা দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে যার নং ৮৬৭ তাং ২৩/৪/২০।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে,স্বরস্বতিপুর মৌজার ২৪৩ নং খতিয়ানের ৭-৮ নং দাগের ৩ দশমিক এক একর জমিতে থাকা পুকুরের দখল নিতেই অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা আনোয়ারুলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। তারা এরআগেও এই পুকুর এবং ডাঙ্গা জমির দখল নিতে কয়েকবার বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধমকি দেয়। আনোয়ারুলকে হত্যার পরেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের নানান রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী মানসিক ভারসাম্যহীন আনোয়ারুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাসিমা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন মো: মোতালেব হোসেন,মো: আজাদ আলী,আনোয়ারা বেগম ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।