শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মনু মিয়ার পুত্র মোঃ জুয়েল মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কুটি মিয়া ও শাহাজাহান মিয়াগংরা প্রশাসনের দোহাই দিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছেন। এসব অবৈধ বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোপলা নদীসহ হাওর অঞ্চল। তাদের এমন অবৈধ কর্মকান্ডে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে নদী, গ্রামীণ সড়ক ও ছড়ার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব দেখেও স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ছড়ায় বালু লুটপাটের হিড়িক চলছে। ছোট ছড়াগুলোয় ব্যবহৃত হচ্ছে বোমা মেশিন। এতে পরিবেশ- প্রতিবেশ ছাড়াও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ছাত্রা বট, কামাসিদ, রায়পরান, দুবার হাট, সুইলপুর, সিন্দুরখান ইউনিয়নের লাংলিয়াছড়া, উদনাছড়া, আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিলাসছড়া, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার জালালিয়া সড়কের বিজিবি ক্যাম্পের পাশে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় একাধিক লোকজন জানান, গোপলা নদীসহ হাওর অঞ্চল, পাহাড়ি ও চা বাগানের ছড়ার গাঁ ঘেষে টিলা ও ছড়ার বাঁধ কেটে বালু উত্তোলন, জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকী। যত্রতত্র বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- এসব অনিয়ম,দুর্ণীতি ও সরকারের বিপুলপরিমান রাজস্ব ফাঁকির ঘঠনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিস্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন- আমি জেলা প্রশাসক/ কালেক্টর হইতে বৈধ ভাবে রাইতগাও বালু মহালের ইজারাদার। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি।