প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে নাটোরের হাটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার (৫ জুলাই) জেলার বৃহত্তম তেবাড়িয়ায় সাপ্তাহিক গরুর হাট বসলেও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
তবে এবার ঈদের প্রথম হাটে গরুর দাম ছিলো অনেক কম।
শনিবার (৪ জুলাই) পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা খামারী ও হাট ইজাদারদের সাথে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য অনুমতি দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলার বৃহত্তম সদর উপজেলার তেবাড়িয়ায় সাপ্তাহিক
হাট বসে। সকালে বৃষ্টির কারণে হাটে গবাদি পশু না আসলেও দুপুর থেকে খামারীরা গরু নিয়ে আসেনে হাটে। তবে অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম দামে গরু বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ন্যায্য দাম না পেয়ে অনেক খামারী গরু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া যারা গরু বিক্রি করেছেন তারা প্রতিটি গরুতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুণছেন। প্রথম হাটে গরু উঠলেও ছাগল উঠতে দেখা যায়নি এই হাটে। এছাড়া হাটের অধিকাংশ খামারী ও ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানেননি।
তেবাড়িয়া হাট ইজাদার বাবুল হোসেন বাবলু মেম্বার জানান, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন। প্রচণ্ড ভিড়ে কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মানা বিঘœ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দাম কমের কারণে খামারীরা প্রথম হাটে গরু বিক্রি করেননি। অন্য কোরবানীর হাটের তুলনায় আজকের কোরবানীর হাটে ১৫ ভাগ গরু বিক্রি হয়নি। তবে কোরবানী ঈদের আগে তেবাড়িয়ায় আরো ৩টি হাট বসবে। আর এই তিনটি হাটে গরুর দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তিনি।