নেত্রকোনার দুর্গাপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসার পরদিন বাড়িতে গেলে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে এক গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্দেহমূলকভাবে ওই ব্যক্তির করোনা নমুনা সংগ্রহ করেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই মারা যাওয়া গৃহবধূর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। করোনায় মারা যাওয়া গৃহবধূ চন্ডিগর ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী রহিমা খাতুন(৩৭)। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ওই রোগীর দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চন্ডিগর ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের রহিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে ব্রনক্রাইটিস রোগে ভুগতেছিল। হঠাত করে শরীরে প্রচন্ড জ্বরও সর্দি-কাশি দেখা দেয়। পরে গত রবিবার চিকিৎসার জন্য উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে মঙলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিলিজ দেয়। ওইদিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরিবারের কেউ জানতো সে করোনায় সংক্রমিত ছিল। পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সরকারী হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান কালের কণ্ঠকে জানান,গত ২৭ জুন রহিমা খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ ল্যাবে পাঠানো হলে ৩ জুলাই তার করোনা পজেটিভ আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বুঝা যায় সে করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তখন তাকে ছুটি দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই সে মারা যায়। তার চিকিৎসা দিতে ২৭ জন নার্স ও চারজন ডাক্তার নিয়মিত কাজ করছে। এখন ওইসব সেবাদানকারী ডাক্তার ও নার্স এখন শঙ্কায় ভুগছে।