ঈশ^রদী প্রতিনিধি ; রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ঈশ^রদী-ঢাকা রুটের এক’শ বছরের পুরাতন ও ডেডস্টপ ঘোষণকৃত ৪০০ ফুট দীর্ঘ ২৬এ নম্বর
রেলওয়ে ব্রীজটি নির্ধারিত সময়ের ৭৫ দিন আগেই ¯^াভাবিক ট্রেন চলাচলের উপযুক্ত করে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের সময়মত সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরটিসি নামক টিকাদারী প্রতিষ্ঠানের করোনা কালের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের ফলে ৩ কোটি ২২ লাখ টাকায় ব্রীজটি পূণঃনির্মাণ করায় এই রেকর্ড সৃষ্টি হয় । এতে এই রুটে চলাচলকারী ৪৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রীদের ভীতি ও দূর্ভোগ দুর এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আর্থিক সাশ্রয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হলো। শুক্রবার সকালে ব্রীজ
চত্বরে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিকট পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ.এফ.এম.মাসুদুর রহমান,পাকশী
বিভাগীয় প্রকৌশলী টু আব্দুর রহিম ও আরটিসির সাইট ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। তারা আরও জানান, ১০ ফুট
মাটির নীচে এবং মাটি থেকে ২৫ উচ্চতা সম্পন্ন এই ব্রীজটির পূণর্নিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে করোনা দূর্যোগের মধ্যেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাস্থ্যবিধি মেনে আন্তরিকভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
করে কাজটি করেছে। কাজ চলাকালিন সময়ে কোন শ্রমিক হতাহত বা করোনায় আক্রান্ত হয়নি। গত ১৮ মার্চ থেকে চুক্তির পর থেকেই তারা সকল প্রকার মালামাল ভুটানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানী করে ব্রীজ সাইটে স্ট্যাক করে রাখা এবং রেলেওয়ের পক্ষ থেকেও বিপুল সংখ্যক সিসিপ্রিব,লোহার খাঁচা,রেল এবং ¯øীপারসহ বিভিন্ন মালামাল চট্রগ্রামের কাঞ্চন নগর ¯øীপার ফ্যাক্টরী থেকে ¯øীপার এবং খুলনা হতে সৈয়দপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও গুদাম থেকে মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে আনা হয়। উল্লেখ্য,গত ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ব্রীজটিকে ডেডস্টপ ঘোষণা করার পর থেকে এই রুটে চলাচলকারী ৪৪
টি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ও মালবাহী ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে মারাতœক ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে পারাপার করতে হত। এ সময় ব্রীজটিতে ট্রেনের
গতি ঘন্টায় ৮ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয় । এ কারণে প্রতিটি ট্রেনকে থামিায়ে লাইন ক্লিয়ার নিতে হত। এসব কারণে সময়,খরচ ও আতঙ্ক বৃদ্ধি থেকে রেলকর্তৃপক্ষ ও যাত্রীরা মুক্তি পেয়েছেন। পরে প্রধান
প্রকৌশলী এ.এফ.এম.মাসুদুর রহমান ব্রীজটি পরিদর্শণ শেষে ঢাকা থেকে রংপুর গামী আন্তঃনগর নীল সাগর ট্রেনের ইঞ্জিনে চরে ব্রীজ
অতিক্রম করেন।