কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলার হাওর অধুষ্যিত গ্রাম ছাতিরচর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘোড়াউত্রা নদী। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই নদীর ¯্রােতে
ভাঙ্গনের কবলে পরে নিঃস্ব হয়েছে শত শতপরিবার। জীবন ও জীবিকার তাগিদে
অনেকেই পারি জমিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি করোনা দুর্যোগে সাথে যোগ হয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গন যেন করোনার চেয়েও ভয়াবহ এ গ্রামের মানুষের কাছে। প্রায় বাইশ হাজার মানুষের বসবাস এই একটি গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়ন।
প্রায় ৪০বছর ধরে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা ছাতিরচর গ্রামজুড়ে, স্থায়ী সমাধান মিলেনি যার ফলে নদীর পাশের বসবাসরত মানুষের বেঁেচ থাকার আরেক আতংকের নাম নদী ভাঙ্গন। অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী নদীতে বিলিন হয়েছে গেলো
কয়েক মাসেই। নিশ্চিন্ন হয়ে গিয়েছে এ গ্রামের অনেকের বাপ দাদার কয়েকশত ভিটেবাড়ি। সেই সাথে ভাঙ্গনের কবলে পরে বিলীন হয়ে গিয়েছে
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে কারণে পড়া লেখা করতে সমস্যা দেখা দিয়েছে এলাকার শিক্ষার্থীদের। ভুক্তভোগীরা বলছেন ভাঙ্গনের কবল
থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে বার বার বলার পরও মিলছেনা তার কোন প্রতিকার। এভাবে ভাঙতে থাকলে একসময় ছাতিরচর গ্রামটি নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। গত কয়েক বছরে ছাতিরচর গ্রামের তিন ভাগের এক ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
নিকলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আইয়াজ ভাঙ্গনের
হুমকিতে থাকা প্রায় দুই কিলোমিটার আয়তনের ছাতিরচর ইউনিয়নে ছাতিরচর গ্রামটি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষায় গ্রামের অসহায় মানুষের
ঘরবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাওরবাসীকে রক্ষায় টেকসই বাধ নির্মান ও নদী শাসন করে ছাতিরচরের ভাঙ্গন কবলিত হাওরকে
রক্ষার দাবী জানিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, এর আগেও ইর্মাজেন্সী কাজ বাস্তবায়ন
হয়েছে। গ্রামটিকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য জনগনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রস্তাব
মোতাবেক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা প্লানিং কমিশনে রয়েছে।