উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়কান্দি ও ধুনট উপজেলার নতুন নতুন চর এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গত তিনদিনের পানি বৃদ্ধির কারণে সরকারিভাবে বলা হচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার চরের মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে আশ্রয় নিয়েছে। করোনা মধ্যে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সারিযাকান্দিতে প্রায় ৭৯ টি ছোট চড় চরের মধ্যে ৭ টি ইউনিয়নের ২৫ টি চরের ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, চরাঞ্চলের মানুষ গৃহপালিত পশুসহ বাড়ির আসবাবপত্র নৌকায় করে নিয়ে ছুটছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দিকে। ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামে যমুনা নদীর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এই ইউনিয়নের হয়েছে বলে জানান বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আযাদ জানান, বন্যার পানিতে সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় কিছু ফসলের জমি ডুবেছে। আউস ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তা হিসাব চলছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, সোমবারের পর মঙ্গলবার (৩০ জুন) ফসলের ক্ষতি আরো বেড়েছে। মোট ৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে পাট। চরের ৫ হাজার ২০ হেক্টর পাট, ২ হাজার ৩৭৭ হেক্টর আউস, ৫৬ হেক্টর আউসবীজ তলা, ১৫ হেক্টর জমির ভূট্টা, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ, মাহবুবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।