মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার মতো প্লাবিত হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা। বৃদ্ধি পেয়েছে সবকটি নদী-নালা, খাল-বিল ও হাওরের পানি। তলিয়ে গেছে উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের অনেক এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার, পুষণী গুচ্ছগ্রামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আউশ ধানের ক্ষেত, বীজতলা, পুকুর ও মাছের খামার। কয়েকটি এলাকায় আবার মানুষের ঘরে প্রবেশ করেছে পানি। ফলে অনেক মানুষ আবার রয়েছে পানি বন্দি। করোনা এসময়ে পানি বৃদ্ধি আব্যাহত থাকলে গবাদি পশু নিয়ে বেশি বেকায়দায় পড়তে হবে মানুষকে।উজান ঢলের পানিতে তীব্র স্রোত থাকায় কয়েকটি স্থানে ভেঙ্গেছে সড়ক। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে উপজেলা অন্য ৬ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে বন্যা হওয়ার শঙ্কা। তবে প্লাবিত হওয়া দুইটি ইউনিয়নের জন্য ইতিমধ্যে ৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে লামাকাজী ইউনিয়ন সাড়ে ৩ এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আড়াই মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ পেয়েছে।বিশ্বনাথের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামানসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ। এদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, অন্যদিকে নতুন করে শংঙ্কায় ফেলছে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানি। উপজেলাবাসীর সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছেই।সরেজমিন দেখা গেছে, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কিশোরপুর, হোসেনপুর, ঘাসিগাঁও, খাজাঞ্চী রেলষ্টেশন বাজার, বাওয়ানপুর, তবলপুর, মুছেতর, গুমরাগুল এবং লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, কাজীবাড়ি, মাধবপুর, আকিলপুর, হাজারীগাঁও, রাজাপুর, তিলকপুর, রসুলপুর, সোনাপুর গ্রামসহ দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা।বিশ্বনাথ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি সরেজমিনে প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলো পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের জন্য ৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাথে সাথেই পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।