ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার, নার্সদের ২০ কোটি টাকা খাওয়ার খরচ অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, এতে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনি আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় উপনেতা ঠিকই বলেছেন। এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবার বিল, অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।
সম্প্রতি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা কাজে জড়িত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্টাফদের খাওয়া বাবদ এক মাসে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এই ব্যয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে। এখানে কোনো অনিয়ম হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় কার্যকর পরিকল্পনা সংসদে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অতীতে আমরা ব্যর্থ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবো না। যতই বাধা আসুক তা মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। দেশের কোন মানুষকে আমরা অভুক্ত থাকতে দেব না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা আবারো উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতির মূলোৎপাটন করেই আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো।