সুশ্রী প্রিয়তম বন্ধু

এনামুল হক টগর

সুশ্রী প্রিয়তম বন্ধু,তুমি কি সদ্য ও আধুনিক প্রেমে
আর দিওয়ানা ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে আছো আঁধার কামে?
তুমিতো জানো আনন্দের গভীরেই দুঃখের বসবাস।
তারপরও পাপের জন্যই মহান রবের দয়া ও নবীর রহমতই অশেষ!
এই পাপের আন্ধকার প্রচীর ভেঙে পারলেই আমাদের আশ্রয় হবে শান্তির ঠিকানায়!
জগত মায়ার সংসারে শুধু লোভ লালসা ও অহংকারে ক্ষণিক জীবন সময়।
হে মহাপ্রভু তোমাকে কেন ভূলে যাই বার বার দেহের কুপ্রবৃত্তির প্রবল তাড়নায়!
গবেষণা ও সাধনায় তোমার সন্তোষ্ট দাসই হতে চাই অনাদি অনন্ত দয়ায়!
আমাদের ক্ষমা করো আর দান করো বিজ্ঞ হেকমত হেদায়েত নূরে স্বচ্ছ জ্যোতির্ময় ।
আমাদের নির্ঝর আত্মা যেন তোমার মহাপ্রেমের শান্তিতে বহমান থাকে ঐশ্বরিক বিস্ময়!
তোমার প্রকাশ ও গুপ্তজ্ঞানের উচ্চস্তরেইতো বাকার স্থিতি সপ্তকাশ!
অমৃত সুধা ও অমীয় প্রেমের মহাশান্তি আর মহা-আনন্দের একক প্রদীপ জ্বলে মহাশূণ্যে মহাকাশ।
যেখানে মধুময় প্রেমের সুর তোলে অপরূপ জমজমাট লহড়িতে নিখিল জগত একাকার অশেষ।
আর ভালোবাসার জীবনকে করে অমরত্বের মহাস্বর্গ চির-জীবন্ত ও চিরজীবি!
মহাকালের উর্ধ্বে মহাজ্ঞানের নূরে প্রেমের পেয়ালাকে পূর্ণ করে দ্বীনের আলোতে চির-সজিব!
তোমার প্রজ্বলিত অনুপম অভিসার পুষ্প বসন্ত বাহার
মহাজীবনকে মহাবন্ধনের ভালোবাসায় গৌরব মর্যাদায় সম্মানিত করে মহা-সংস্কার।
পুরাতন মাটির কুঠিরে নূরের পাখি আর নফসরূপী প্রাণ জাগে এ-দেহে আমার,
সাধনায় তাদের মহামিলন বন্ধু হয়ে ওঠে আর শান্তির স্থায়ী আসন লাভ করে অমর জীবন!
তাঁকে যত্ন ও আদর দিয়ে জাগ্রত করো তবেই তৃতীয় নয়নে দর্শন পাবে এক মহা-চিরন্তন!
সেই মহা-প্রেমের পরশ ও প্রজ্বলিত নূরের শিখায়
হৃদয় বসন্ত কুঞ্জবনে অপরূপ উজ্জ্বল চন্দ্রসম আলো জ্বালে ঐশী উদয়!
মহাশূন্যে অবরোহ ও সুশান্ত প্রেমে নির্বাক চেতনায় এক মহা-চৈতন্যময়!
যেন মহারংয়ের প্রেম ও মহামিলন ফানায়ই আমরত্বে অমর ও চির-বসন্ত সাক্ষাত পরিচয়।
দরবেশ ও তাপসদের সাথে তাঁর যেন প্রত্যক্ষ দর্শন হয় অখণ্ড মহাজ্ঞানরাজ্যে সমুদয়।