আবু ইসহাক, সাঁথিয়াঃ
পাবনার সাঁথিয়ার আকাশে যেন রঙ্গিন ঘুড়ির মেলা বসেছে। খোলা মাঠে বিকাল থেকে অর্ধেক রাত পর্যন্ত বাহারি রঙ্গের ঘুড়ির হাটে নানা বয়সী মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠছে গ্রামের পর গ্রাম। অনেকেই করোনা কালিন সময়ে ঘুড়ি তৈরি করে চালাচ্ছে জীবন যাপন। এক একটি ঘুড়ি পাঁচশত থেকে পাঁচ হাজার টাকা বিক্রয় করছে কারিগররা।
উপজেলার রায়েকমারী গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক সে একটি কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র। কলেজ ছুটি থাকায় সে অন্যদের সহায়তায় তৈরি করেছে গোকরা শাপের আকৃতির একটি বিশাল আকারের ঘুড়ি। ঘুড়িটি ১২৭ ফুট লম্বা। যা আকাশে উড়াতে কয়েকজন মানুষের সাহায্য নিতে হয়। আশিক জানান, এখন করোনার কলেজ ছুটি চলছে। লেখা পড়ার চাপ কম থাকায় ঘুড়ি নিয়ে ফঁকা মাঠে বসে থাকি।
একই গ্রামের মফিজসহ অনেকেই বড় আকৃতির ঘুড়ি তৈরি করে এলাকায় কৌতুহলী সৃষ্টি করেছে। উপজেলার বিষ্ণুপুর নবনির্মিত রেল লাইনে বিকাল হলেই যেন সকল শ্রেণি পেশার সৌখিন মানুষ ঘুড়ি নিয়ে আকাশে দুরত্ব প্রতিযোগিতায় মাতোয়ারা হয়। ঘুড়িগুলোতে বিভিন্ন রঙ্গের লাইট লাগিয়ে উড়ানো হয়। দুর থেকে মনে হয় এ যেন আলোকিত কোন শহর। উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের বিজু মিয়া করোনার সময় বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি তৈরি করে জীবন যাপন করছে। একটি ঘুড়ির সর্বনিম্ন মূল্য পাঁচশত টাকা তিনি বিক্রয় করে থাকেন। বিজু ছাড়াও উত্তর শোলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান (মানা বুড়ো)সহ অনেকেই এখন এ কাজ কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে সংসার চালাচ্ছে।
উপজেলা প্রায় প্রতিটি গ্রামের আকাশে বিকাল হলেই ঘুড়ির মেলা বসে। সৌন্দর্য প্রেমিকরা দল বেঁধে আকাশ পানে তাকিয়ে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা দেখেন।