পাবনায় মন্দিভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কর্মশালায় অনুষ্ঠিত

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় ‘‘মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম পাবনা ও পাবনা জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভার্চুয়াল(ভিডিও কনফারেন্স) প্রক্রিয়ায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সংসদ সদস্য, মন্ত্রনালয়ের সচিব সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১শ ৫০ জন অংশ গ্রহন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক
প্রিন্স।
পাবনা জেলা প্রশাসক জনাব কবীর মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশ
গ্রহন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. নুরুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের ট্রাষ্টি অংকুরজিৎ সাহা নব, প্রকল্প পরিচালক রঞ্জিত কুমার দাস (অতি. সচিব), উপ প্রকল্প পরিচালক সৌরেন্দনাথ সাহা (উপ. সচিব), হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব বিষ্ণু কুমার সরকার, রেজাউর রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী প্রধান (পরিকল্পনা কমিশন) মো. হেলাল খান (আই
এম ই ডি), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান,
অতি. জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, , জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার
মুনছুর রহমান, অধ্যাপক তুষার কুমার সরকার, অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার কুন্ডু, পিটিআই সুপারিনটেন্ডন্ট সুভাষ কুমার সরকার, কেন্দ্র মনিটরিং
কমিটি, জেলা ও উপজেলা মনিটরিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষকসহ প্রকল্পের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্চারিগণ ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন পাবনা করেন মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম পাবনার সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিরুপম ধর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিভাগীয় মাস্টারট্রেইনার কানু বাঁশফোর ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন- মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভুমিকা গুরুত্বপুর্ণ। বর্তমান
সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংশিত। উন্নত জাতি ও দেশ গঠনে এই কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্টদের আরো
সচেষ্ট হতে হবে।
সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিরুপম ধর জানান- অনুষ্ঠানে তিনটি গ্রুপভিত্তিক কর্ম অধিবেশন গত ২০ জুন অনুষ্ঠিত হয় সেগুলো হলো- শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে প্রকল্পের কেন্দ্র শিক্ষকের ভুমিকা, প্রকল্পের শিক্ষাকেন্দ্রের কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় এবং আদর্শ গীতাশিক্ষাকেন্দ্রের উন্নয়নে মন্দির কমিটি, মনিটরিং কমিটি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের ভুমিকা।
কর্মশালায় গ্রুপভিত্তিক আলোচনায় বিভিন্ন সুপারিশ উঠে আসে যা কাযক্রমকে আরো গতীশীল করতে সহায়ক হবে।