পৃথিবীতে যুগে যুগে ফ্যাশনের পরিবর্তন ঘটেছে। সেটা বিয়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি। বিয়ের জন্য বর কনে অনেক আগে থেকে নানা ধরণের পরিকল্পনা করে থাকে। বিশেষ করে শৌখিন ও ধনীরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে তাদের বিয়েতে। বিয়ের সাজগোজে আনে নিত্য নতুন চমক।
তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে বিয়ে ও এর নানা আয়োজনে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বিয়ের আয়োজনে যারা কাজ করে তাদের কপালে হাত উঠেছে। তবে এরপরও থেমে নেই বিয়ে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন জন অবলম্বন করছেন ভিন্ন ধরণের পথ।
গেল এপ্রিল মাসে জুমের ভিডিও কলের মাধ্যমে অনেকে বিয়ের আয়োজন করেছেন। আর এসময় বিয়ের পোশাকেও এনেছে নানা পরিবর্তন।
ভারতের চণ্ডীগড়ে গত ১৭ মে ২৬ বছর বয়সী নেহা ছোট পরিসরে তার বিয়ের আয়োজন করেন। সেইসঙ্গে তিনি বিয়েতে মাস্ক পড়ে বিয়ে করবেন বলে টেইলার্সকে তা বানাতে বলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, আমাকে পুরো বিয়ে জুড়ে মাস্ক পড়তে হয়েছিল কেননা সরকারের এতে আইন ছিল।
এজন্য বিয়ের পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক বানিয়ে নেন বলে জানান নেহা।
লকডাউনের সময় যখন ভবদীপ ও নেহা বিয়ে করার সিধান্ত নেয়, তখনই নেহা বিয়ের ফ্যাশনের জন্য নতুন করে ভাবতে থাকে।
এজন্য আনন্দ কারাজ ২৭ বছর বয়সী উদ্যোক্তা এবং ডিজাইনার এক নতুন আঙ্গিকে নেহার জন্য লেহাঙ্গা তৈরি করেন।
তিনি নেহার বিয়ের জন্য এমন এক লেহাঙ্গা তৈরি করেন যাতে ফুটে উঠেছে মানুষ দুর্গের ভিতরে আটকে রয়েছে এবং সব পশু পাখি, হাতি বাইরে আনন্দে ঘুরছে।
এনিয়ে নেহা বলেন, লকডাউনের সময় আমি ভিডিওতে দেখেছি আমরা এসময় ভিতরে আটকা পড়ে আছি এবং প্রানীরা শহরে ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এসব থেকেই আমি বিয়ের জন্য নতুন ফ্যাশনের পোশাক বানাতে উদ্বুদ্ধ হই। আর মাস্ক এখন সব অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচ্য।
এদিকে প্রাণঘাতী এই করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৭৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪ লাখ ৩০ হাজারের বেশি জন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ওয়ার্ল্ডও মিটার।