নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চন্তিগড় ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারের উত্তর পার্শ্বে টাংগাইল নদীর উপরে ব্রীজ নির্মিত না হওয়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে বেশক’টি গ্রামের লোকজনের মাঝে ফিরে আসবে স্বস্তির নিঃশ্বাস। আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে গেলে এ দূর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্ডিগড় ইউনিয়নের টাংগাইল নদীর উপর দিয়ে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকো তৈরী করে রাস্তা পারাপার করছে স্থানীয়রা। তবে এবার ওই নদীর উপর কোন সাঁকো তৈরী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অশংখ্য লোকজন। এখনও লোহারগাঁও সহ বেশক’টি গ্রামের লোকজন সারাবছর পায়ের জুতা খুলে নদী পার হতে হয়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে চারদিকে কাঁচা রাস্তা ভারী হয়ে যায় লোকজনের চলাচল। টাংগাইল নদী এ দুঃখ-দুর্দশা থেকেই
রেহাই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
স্থানীয় সচেতন মহল বারং বার জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেও সেই নদীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সেতু নির্মাণের আশ্বাস পাননি ভুক্তভোগীরা।
নদীর উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে গ্রামের প্রায় চার হাজার স্থানীয় লোকজন। চলাচলের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে এটি। কিন্তু নদীর মধ্যে কোন সেতু এখন পর্যন্ত ব্রীজ নির্মাণ না হওয়াই প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। স্থানীয◌় নাম প্রকাশে অনিচ্ছক ভুক্তভোগী জানান , আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রদান রাস্তাটি হচ্ছে এটি। কিন্তু নদীর মধ্যে কোন প্রকার সেতু না থাকায◌় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দেই আমরা। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা। তবে প্রতিবছর একবার করে এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকি। তাছাড়া, এলাকায◌় রয়েছে অসংখ্য স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন পাঠাগার।
তবে নদীর মধ্যে ব্রীজ না থাকায় বড় ধরনের সমস্যায় পড়ছি আমরা এলাকাবাসী।
চন্তিগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয◌়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল প্রতিবেদককে জানান, এর আগেও ক্ষমতা থাকা কালীন এমপি মহোদয়দের জানিয়েছি। অনেকবার ব্রীজ নির্মাণের চেষ্টা করে আসছি। তবে অচিরেই ব্রীজটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে ।