মোছা: মনি আক্তার স্বামী মো: আলাল মিয়া ডাকঘর -সুসং উপজেলা- দুর্গাপুর জেলা-নেত্রকোনা । শুত্রুবার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এসে লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ১১-০৬-২০২০ তারিখে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তা সম্পূর্ন মিথ্যা ভিওিহীন ও বানোয়াট । আমার পূর্বের স্বামী
কাউসার আহমেদ কাজল পিতা আব্দুল হেকিম , গ্রাম –নাউরিপাড়া,ডাকঘড়-বিষমপুর,উপজেলা- কলমাকান্দা, জেলা নেত্রকোনা। তার সাথে গত ২০১৪ সালে রেজিষ্ট্রি কাবিন
মুলে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের তিন মাস পরে উক্ত কাউসার আহম্মেদ কাজল আমাকে দুই মাসের অন্তসত্বা অবস্থায় বাড়ীতে রাখিয়া সে সৌদিআরবে চলে যায়। সেসময়ে
আমি দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রথম বর্ষে
লেখাপড়া করতাম। আমার বিবাহের কয়দিন পরে জানতে পারি আমার স্বামী কাওসার নেশাগ্রস্থ জুয়া খেলা ও পর নারীর
প্রতি আকৃষ্ট। আমি যাতে পড়াশুনা করতে না পারি সে জন্য বিদেশে থাকিয়া আমাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
লেখাপড়া করতে নিষেধ করে। তার পরিবারের লোকজনের কুমন্ত্রনায় ও নির্দেশে আমাকে পড়াশুনা না করার জন্য
নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতো। আমার শ^শুর শ^াশুরী সহ পরিবারের সকল সদস্যগন নানানভাবে নির্যাতন করতো।
এবং উক্ত কাওসার আমার চরিত্র নিয়ে কু কথা বার্তা বলিয়া আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করিতো। সে আমার
নামে কোন টাকা পয়সা প্রদান করে নাই। সে তার ছোট বোন ও বড় ভাইয়ের নিকট টাকা পয়সা পাঠাতো। আমি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার পিত্রালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। এবং আমার পিত্রালয়েই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দান করি। নাম মোঃ মোহতাসিন। এর বর্তমান বয়স সারে চার বছর। আমার সন্তান জন্মদান করার পরও উপরোক্ত কাওসার
আহম্দে কাজল বা আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আমার খোজখবর তো নেয় নি এমন কি আমার সন্তানের মুখও দেখেনি। এ অবস্থায় এক পর্যায়ে কাওসার আহমেদ মোবাইল
ফোনে মৌখিকভাবে তালাক প্রদান করে। আমি লিখিত তালাক চাইলে সে লিখিত তালাক দেবে না বলে জানান। এ
অবস্থায় আমি জীবনের ভবিষ্যত চিন্তা করিয়া কাবিনের প্রদও ক্ষমতা বলে বিগত ০৩.০৯.১৯ তারিখে এভিডেভিড
মুলে কাওসার আহমেদ কাজলকে তালাক প্রদান করি। এবং রেজিষ্ট্রি ডাক যোকে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান সাহেবের বরাবরে তালাকের নোটিশ প্রদান করি। এরপর কাওসার আহমেদ
কাজল ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি ও হুমকি
প্রদান করতে থাকে। এবং আমার পুত্র মোহতাসিনকে জোরপূর্বক উঠাইয়া নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি একজন
প্রাপ্ত বয়ষ্ক মহিলা আমি আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া পারিবারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ০৫.০১.২০ তারিখে সামাজিকভাবে মোঃ আলাল মিয়া পিতা মোঃ
হযরত আলী সাং চড়মোক্তারপাড়া উপজেলা দুর্গাপুর জেলা নেত্রকোনা এর সাথে রেজিষ্ট্রি কাবিনমুলে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বর্তমানে বৈধভাবে তার সাথে দাম্পত্য
জীবন যাপন করে আসতেছি। উল্লেখ্য কাওসার আহমেদ কাজল বিদেশে মানবপাচার কারী চক্রের সাথে জড়িত ইতিমধ্যেই সৌদিআরবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হইয়া বেশ কয়েকবার জেল হাজত ভোগ করিয়াছে।
এবং বর্তমানে সে সৌদিআরবে অবৈধভাবে
আত্মগোপন থাকিয়া বসবাস করিতেছে। সে
সৌদিআরবে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সে আমার বিরুদ্ধে তার বড় ভাই লাক মিয়া বাদী হয়ে আমাকে সহ আমার মা আমার সহোদর ভাই বোনদের বিবাদী করে
দুর্গাপুর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাতে সে আমাকে ৩৫ লক্ষ টাকা সহ লক্ষ লক্ষ টাকার স্বর্নালংকার
দিয়েছি বলে উল্লেখ করেছে । এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমাকে এবং আমার বর্তমান স্বামী আলাল মিয়ার ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে আমাকে হেয়
প্রতিপন্ন করেছে । আমার বর্তমান স্বামী মো; আলার ুিময়া একজন সম্মানী ব্যক্তি তিনি সুনামের সাথে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং তিনি বর্তমানে সোমেশ^রী নদীর বালু মহালের ইজারাদার ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক । তার অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দেখিয়া কুচত্রিুমহল নানা ভাবে আমাকে মিথ্যা অপবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে ।
আমি আপনাদের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।