ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্পুল ও স্টিকের অভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ বন্ধের ৬দিন পর বিশেষ ব্যবস্থায় আবার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ১৭ই জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহের এ্যাম্পুল ও স্টিক আসেনি। তবে এরই মধ্যে ১৬ জুন মঙ্গলবার থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে এবং নমুনা প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।
ঈশ্বরদী একটি প্রথম শ্রেনীর উপজেলা। এখানকার নিজস্ব জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ জনগোষ্টি অধ্যুষিত প্রথম শ্রেণীভূক্ত ঈশ্বরদী পৌরসভা ও উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও আইইপিজেড রয়েছে। বিদেশী নাগরিকসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কর্মরত রয়েছে। সরকারিভাবে প্রাপ্ত এ্যাম্পুল ও স্টিক দিয়ে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে হাসাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান নিশ্চিত করেছেন।
এরই মধ্যে গত ১১ই জুন নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার কারনে নমুনা প্রদানকারীর সংখ্যা বেড়েছে বহগুণ।
ডাঃ আসমা খান জানান, এই অবস্থায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য রসাটমের পক্ষ হতে ৫০০ এ্যাম্পুল ও স্টিক প্রদান করেছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের আরো একজন সাব-ঠিকাদার আবু শহীদ ব্যক্তি উদ্যোগে আরো ৩০০টি এ্যাম্পুল ও স্টিক সরবরাহ করেছেন। এগুলো দিয়েই ১৬ই জুন হতে আবার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বন্ধ থাকার পর ২ দিনে ২১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ১০ জন বাদে সকলেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকুরিতে যোগ দিতে আসা শ্রমিক-কর্মচারী। এইনিয়ে ঈশ্বরদীতে ১৭ই জুন পর্যন্ত ৮৮৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা ও রাজশাহী ল্যাবে ৭৩৪ জনের করোনা পরীাক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ৪৪৮ জনের। ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। প্রাপ্ত ৮০০ এ্যাম্পুল ও স্টিক দিয়ে ৩ থেকে ৪ দিন চলতে পারে। এরমধ্যে সরকারি বরাদ্দ না এলে আবারও নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদীর বিষয়টি বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে ঈশ্বরদীতে এ্যাম্পুল ও স্টিক প্রেরনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।