করোনা ভাইরাস নিয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ কেউ বলেছে, চিনের রাসায়নিক গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে এই করোনা ভাইরাস। আবার অনেকের মতে, পরিবেশ থেকেই এই ভাইরাস সৃষ্টি হয়েছে। আর এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর দাবি করে চেন্নাইয়ের এক বিজ্ঞানী। ওই বিজ্ঞানীর কথায়, কোনও ধরনের গবেষণাগার বা পরিবেশ থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের এর সৃষ্টির সঙ্গে সূর্যগ্রহণের যোগসূত্র রয়েছে। তাঁর এই দাবিতে নড়েচড়ে বসলো গোটা বিশেষজ্ঞ মহল। সেই সঙ্গে এই করোনা কবে শেষ হবে, তা নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছে চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী।
চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী হলো ডক্টর কেএল সুন্দর কৃষ্ণা, তিনি একজন পারমাণবিক ও ভূবিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি কোনও ধরনের রাসায়নিক ঘটনা নয়, এটি একটি মহাজাগতিক ঘটনার কার্যকলাপ। কিন্তু হঠাৎ কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? তার কথায়, ২০১৯ এর ডিসেম্বরে দিকে করোনা ভাইরাসের খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছিলো সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই এই ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে এই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সূর্যগ্রহণ চলাকালীন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে রাসায়নিক বদল হয়, আর সেই থেকেই এই করোনা ভাইরাসের জন্ম হয়। আর পরবর্তী সূর্যগ্রহণের সময় এই পৃথিবী থেকে করোনার অস্তিত্ব একে বারে মিটে যাবে বলে, দাবি করেন কেএল সুন্দর কৃষ্ণা। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন সূর্যের বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস গ্রহণ একসঙ্গে চলবে। আর ওই দিনেই পৃথিবী থেকে করোনার বিদায় ঘটবে।
চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী, সূর্যগ্ৰহন ও করোনার বিদায় নিয়ে, নিজের একটি তত্ত্ব ব্যাখা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সূর্যগ্রহণ চলাকালীন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে তড়িদাহত কণাদের মধ্যে রাসায়নিক বদল ঘটেছিল। যার কারণে নিউট্রনের বদল শুরু হতে থাকে, আর সেই পরিস্থিতিতে তৈরি হয় করোনা ভাইরাসের নিউক্লিয়াস। আর পুরো ঘটনাটি একটি বায়ো-নিউক্লিয়ার ইন্টার্যাকশন। আর যে স্তরে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়, সেই স্তরটিকে বলা হয় ‘ডি-লেভেল’। কিন্তু এই স্তরে কীভাবে একটি ভাইরাস তৈরি হতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না অনান্য বিজ্ঞানীরা।