মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নিতেশ্বর
গ্রামের বাবা-মাসহ পরিবারের হাল ধরা সেই রাজ মিস্ত্রি তানভীর (১৭) মালিক পক্ষ ও ঠিকাদার এর ভুলের কারণে অবশেষে টাকার অভাবে সঠিক
চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে না পারায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ৪ তলার ৫নং ওয়ার্ডের ১০নং বেডে আজ ১৫ জুন দুপুর
২ঘঠিকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা ইব্রাহীম মিয়া। জানা গেছে- উক্ত বিল্ডিং এর ঠিকাদার বাবুল মিয়ার
ত্বত্তাবধানে খিদুর এলাকায় আলতাব মিয়ার বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে গত ৬ জুন বিল্ডিং ঘেষা বিদ্যুৎ এর তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর
আহত হন তানভীর। ঝলসে যায় বুঁক,হাত ও পায়ের বেশ কিছু অংশ। গুরুতর আহত অবস্থায় থাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং জরুরিতে অপরেশন করার জন্য বলেন। বাবা-মাসহ পরিবারের হাল ধরা সেই রাজ মিস্ত্রি তানভীর হাসপাতালের বেডে নিস্তব্ধ হয়ে চোখের পানি ফেলে বাঁচার আকুতি এবং এ চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল থাকার কারণে পিকআপ ড্রাইভার বাবা ইব্রাহীম এর পক্ষে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায়্যের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, এমন সংকটময়
সময়েও মালিক পক্ষ ও উক্ত বিল্ডিং এর ঠিকাদার তার চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসেননি। অভিযোগ উঠেছে- আলতাব মিয়ার বাসার পাশে দিয়ে বিদ্যুৎ
তার এর তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তানভীর মারা গেছে, স্থানীয় লোকজন সেই বিদ্যুৎ লাইনটি সরিয়ে বিল্ডিং এর কাজ করানোর জন্য একাধিকবার বলা হলেও
মালিকপক্ষ চরম অবহেলা করে সেই বিল্ডিং এ রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে । মালিক পক্ষ ও ঠিকাদার এর ভুলের কারণে অকারণে একটি প্রাণ চলে গেলো।