বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত তানভীর অবস্থার অবনতি

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নিতেশ্বর গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রাজমিস্ত্রি তানভীর মিয়া (১৭) অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ঝলসে গেছে বুঁক,হাত ও পায়ের একাধিক অংশ। অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছেনা তার। দিন দিন শরীলের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ৪ তলার ৫নং ওয়ার্ডের ১০নং বেডে চিকিৎসাধীর রয়েছে। অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে পায়ের জরুরী অপারেশন। হাসপাতালের বেডে নিস্তব্ধ হয়ে চোখের পানি ফেলে বাঁচার আকুতি করছে সমাজরে বিত্তবানদের কাছে। চিৎকার করছে, সে বাঁচতে চায় এমন অসয্য যন্ত্রণা থেকে। এক ভাই, দুই বোন ও বাবা-মা পরিবারের হাল ধরতে ছোট বেলা থেকে রাজ মিস্ত্রিরি কাজের সাথে যুক্ত। গত এক সাপ্তাহ আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। তার বাবা ইব্রাহীম পেশায় একজন পিকআপ ড্রাইভার। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে এবং স্ত্রী কে নিয়ে কোন মতে চলছে দুঃখ-কষ্টের সংসার। হটাৎ বড় ছেলের এমন দুর্ঘটনায় প্রায় দিশেহারা বাব। জানা গেছে- তানভীর রাজ মিস্ত্রি কাজ করতে গিয়ে পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে ভুলক্রমে পা দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে যায় বুঁক,হাত ও পায়ের বেশ কিছু অংশ। গুরুতর আহত অবস্থা থাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাকে বাঁচানো গেলেও চিকিৎসকরা বলছেন,জরুরিতে অপরেশন করে তার হাত ও পায়ের আঙ্গুল কেটে বাদ দিতে হতে পারে। এ চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। অনেক অর্থের প্রয়োজন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে হবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যা তার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। সমাজে বিত্তবানদের সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আকুল আবেদন করেন। তানভীরের বাবা ইব্রাহীম মিয়া বলেন, আমি অসহায় গরীব মানুষ গাড়ির চাকা ঘুরলে আমার মুখে আহার জুটে। অন্যতায় করুণ অবস্থা। ছেলেটি ছিলো পরিবারের সহায়ক। বর্তমান সময়ে দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে গাড়ি চালাতে ও পারছিনা আয় রোজগার নাই আর ছেলের এমন অবস্থাতে সবার সহযোগীতা একান্ত দরকার আমার ছেলেকে বাচাতে। ছেলেটি তীব্র যন্ত্রনায় চিৎকার করে কাঁদছে কোন বাবার পক্ষে সয্য করার মত না। তিনি আরও বলেন,প্রতিদিন তার ঔষুধ ও যাবতীয় খরছের জন্য দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এবং ডাক্তাররা বলছেন দ্রত ঢাকাতে নিয়ে হাত ও পায়ের আঙ্গুল কেটে ফেলার জন্য জরুরি অপারেশন লাগবে। এই মুহুর্তে আমি এত টাকা কই পাই। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে আমার ছেলেটা মরে যাবে। ভাই আপনারা একটু চেষ্টা করেন আমার ছেলেটা কে বাঁচাতে। দয়া করে সকলে সাহায্য সহযোগীতার করলে আমার ছেলেট বাঁচবে। সে আবার ভালো হয়ে আমার বুঁকে ফিরবে।