গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২১ জন করোনায় আক্রান্তসহ দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮২জন। এ পর্যন্ত জেলায় ১১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন এবং ৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত পৌনে ১০টায় জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার) জেলায় নতুন আরো ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাড়ালো ৩৮২ জনে। এছাড়া নতুন আরো ৬ জনসহ এ পর্যন্ত ১১৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৩৮২ জনের মধ্যে পুরুষ ২৭২ জন, নারী ৯৩ জন ও শিশু ১৭ জন।
নতুন আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে খানসামা উপজেলায় ১০ জন, সদরে ৪ জন, চিরিরবন্দরে ৪ জন, বিরলে দুইজন ও বিরামপুর উজেলায় একজন। আর সুস্থ ৬ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৩ জন, বীরগঞ্জে দুইজন ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় একজন।
সিভিল সার্জন জানান, করোনায় আক্রান্ত ৩৮২ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১১২ জন (মৃত একজনসহ), কাহারোলে
১৩ জন, বিরলে ৩৫ জন, বোচাগঞ্জে ১০ জন (মৃত একজনসহ), পার্বতীপুরে ৩১ জন (একজন মৃতসহ), ফুলবাড়ীতে ১৪ জন, নবাবগঞ্জে ২৫ জন, হাকিমপুরে ৫ জন, খানসামায় ২২ জন, বিরামপুরে ৩২ জন, ঘোড়াঘাটে ৩১ জন, চিরিরবন্দরে ৩৪ জন
(মৃত দুইজনসহ) ও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন।
অপরদিকে সুস্থ ১১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৭ জন, ফুলকাড়ীতে একজন, নবাবগঞ্জে ১২ জন, পার্বতীপুরে ১৩ জন, কাহারোলে ৭ জন, বোচাগঞ্জে ৫ জন, হাকিমপুরে দুইজন, ঘোড়াঘাটে ৪ জন, বিরামপুরে ৩ জন, বিরলে ২০ জন, বীরগঞ্জে ১৪ জন, খানসামায় ৬ জন ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একজন। এছাড়া বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২২১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন।
সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার মোট ৮৭টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে যার মধ্যে ২১টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ, দুইটি নমুনার ফলাফল ফলোআপ পজিটিভ ও বাকী ৬৪টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর এ পর্যন্ত ৪৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫৯০টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ২১৩টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা: মো: আব্দুল কুদ্দুছ আরো জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৭ জনসহ এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৫৮ জন।
বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে রয়েছে ২ হাজার ৭০৯ জন।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ৩২১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৩০৩ জন ও বর্তমানে ১৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে।