পবিত্র হজের বাকি মাত্র দেড় মাস থাকলেও সৌদি আরব সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি। ফলে বাংলাদেশসহ বহু দেশ সিদ্ধান্তহীনতার আবর্তে রয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহত্ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া ও ভারত, সিঙ্গাপুরসহ কোনো কোনো দেশ হজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জুনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। অফিসিয়ালি তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর আমরা এনিয়ে আলাপ-আলোচনা করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব সভাপতি আলহাজ এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। এপর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬৪ হাজার ৫৯৯ জন। তবে সৌদি সরকার কি করবে তা আমরা নিশ্চিত নই। তারা যদি সীমিত আকারে হজ অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত দেন তার ওপর।
তসলিম বলেন, যদিও সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় কোনো সংখ্যার কথা উল্লেখ করে আমাদের অফার এখনো দেয়নি। যদি দেয় সে ক্ষেত্রেও সেই সংখ্যাও কী হবে, কীভাবে হবে এবং এর পলিসি কী হবে নিশ্চত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হবে। এ বছর হজে যাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধিত হয়েছেন তারা যদি কোনো কারণে এ বছর হজে যেতে না পারেন তাহলে পরবর্তী বছর ২০২১ সালে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেতে পারবেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে এ বছর সীমিতসংখ্যক মুসল্লিকে নিয়ে হজ পালনের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। এ বছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মোট হজযাত্রীর ২০ শতাংশ হজ পালনের অনুমতি পেতে পারেন। অর্থাত্ লাখ পাঁচেক হজযাত্রী হজ পালনের অনুমতি পেতে পারেন। সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, এই ৫ লাখ হজযাত্রীর মধ্যে বয়স্করা সুযোগ পাবেন না। সৌদি আরবে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ হজ পালন করে থাকেন।
এদিকে হজ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে না ইন্দোনেশিয়া। সৌদি আরব সীমিত পরিসরে হজ আয়োজনের পরিকল্পনা করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ইন্দোনেশিয়া।
হজ বাতিলের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ধর্মমন্ত্রী জানান, এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে হজ পালন করা সরকারের জন্য অসম্ভব একটা ব্যাপার। ভারতীয় হজ কমিটি এক বিবৃতিতে সমস্ত যাত্রীর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘দুঃখের সহিত জানাই যে, এ বছরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে পুরো বিশ্ব আক্রান্তের কারণে, ভারত থেকে পবিত্র হজ এ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।