রাজশাহীর বাগমারায় করোনার ফেরিওয়ালা এখন সাদ্দাম

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যান্ত ছোট্র একটি ভ্যানে করে থালা বাসন কাপ পিপিচসহ গৃহস্থলির বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে সংসার চালায় রাজশাহীর বাগমারার সাদ্দাম হোসেন। তার ভ্যানে লাগানো রয়েছে দুটি সাউন্ড বক্স। আগে এই সাউন্ড বক্সে বিভিন্ন শিল্পীর গান ও খ্যাতিমান মওলানাদের ওয়াজ বাজাতেন দিনভর গ্রামগঞ্জে সাদ্দাম হোসেন। এখনও সাদ্দাম ওইসব গৃহস্থলি পন্য ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে বেড়ান। তবে তার সাউন্ড বক্সে এখন আর আগের মত গান বা ওয়াজ বাজে না। সেখানে এখন অবিরাম বেজে চলেছে করোনার সতর্কতা মূলক বিভিন্ন সরকারি ঘোষনা ও করোনা সচেতনতা মূলক গান। করোনার এসব সতর্ক বানী ও গান বাজিয়ে পন্য ফেরি করায় সাদ্দাম এখন করোনার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিতি পেয়েছে। উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের সাদ্দাম এর আগে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। এতে দিনভর খাটাখাটুনি হলেও সেরকম ইনকাম হত না। পরে তিনি ওই ভ্যান গাড়িটিকে ছাউনি লাগিয়ে বিভিন্ন গৃহস্থলি পন্যের পসরা সাজিয়ে ফেরি করতে বের হন। এতে তার ইনকাম আগের তুলনায় অনেক ভাল। সাদ্দামের মতে এটা স্বাধীন পেশা, ইচ্ছা মত করা যায়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ভবানীগঞ্জ বাজারে এমনি পন্যের ফেরি করে বেড়ান সাদ্দাম। তিনি জানান, এখন করোনা নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাট বাজারে যেতে লোকজন ভয় পায়। তাই এসব গৃহস্থলী পন্য নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরলে ব্যাপক বিক্রি হয়। এসব পন্য বিক্রির সময় তিনি তার সাউন্ড বক্সে শুরু করেন করোনার সতর্ক বানী ও করোনা সচেতনতা মূলক গান। সাউন্ড বক্্েরর সাথে মেমোরী কার্ড সংযুক্ত করায় তাতে অবিরাম বেজে চলেছে, প্রিয় এলাকাবাসী করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হোন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। এসব সতর্কতার পাশাপাশি করোনা নিয়ে জনপ্রিয় শিল্পি কুদ্দুস বায়াতি সহ আরো কিছু শিল্পীর গান বেজে চলেছে তার সাউন্ড বক্সে