করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দেশের প্রথম চিকিৎসক মঈন উদ্দিন আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গত ২৭ এপ্রিল আবেদন করেন ডা.মঈনের স্ত্রী চৌধুরী রিফাত জাহান। জানা গেছে, বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিভাগে আবেদন অনুযায়ী টাকা ছাড়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ অর্থ ছাড় করবে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন আহমদ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ এপ্রিল মারা যান। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে চৌধুরী রিফাত জাহানের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেন এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো. মইনুল হক।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল চিকিৎসক মঈন উদ্দিন আহমদের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৭ এপ্রিল তাকে সিলেট নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখান থেকে পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি চাকরিজীবী যারা নিজেরা আক্রান্ত হবেন বা মারা যাবেন, তাদের জন্য গ্রেড অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার একটি পরিপত্র করেছে। এর পরিমাণ ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ডা. মঈন উদ্দিন আহমদের গ্রেড অনুযায়ী (পঞ্চম গ্রেড) তার পরিবার ৫০ লাখ টাকা পাবেন।
ডা.মঈন উদ্দিন আহমদ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের বাসি