নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখের ছোট ছেলে নাঈম শেখকে (২২) আহত করার ঘটনায় তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের গুরুদাসপুর বাজারস্থ বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। এতে উভয়পক্ষের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সন্তানদের কারণে যুবলীগ নেতা আলাল শেখ , আওয়ামীলীগের
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের মধ্যে বিরোধ শুরু হলো।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আহত নাঈম শেখ গ্রুপের আশিক শেখ (২৬) ও ফাহিম আল মাহমুদ শান্ত (২১) এবং মোজাম্মেল গ্রুপের শাকিল (১৮) ও হাসমত (১৮)। শনিবার দুপুরে তাদের নাটোর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নাঈমের মাথায় ১৫টি সেলাই
দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। তবে নাঈম আশঙ্কামুক্ত
বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রবিউল করিম শান্ত।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গুরুদাসপুর বাজারের কালুর
চাষ্টলে নাঈম, শাকিল ও হাসমতের মধ্যে টফিন নামের নেশার ওষুধ নিয়ে তর্কাতর্কি
ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে নাঈমের ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতারিভাবে চায়ের কাপ দিয়ে আঘাত করে সহপাঠি হাসমত ও শাকিল। রক্তাক্ত অবস্থায় নাঈমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ খবরে নাঈমের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাত
১০টার দিকে অভিযুক্ত শাকিলের বাড়িঘর ও হাসমতের ফুপা বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের গুরুদাসপুর বাজারস্থ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। শনিবার বিকেলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী আসমা খাতুন থানায় বাদী
হয়ে ৫-৭জন হামলাকারীর নামে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ছেলেকে হত্যার
উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত করায় শাকিল ও হাসমতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যুবলীগের সভাপতি আলাল শেখ।
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বলেন, ঘটনা ঘটেছে বন্ধুদের মধ্যে। এ অজুহাতে আমার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ বলেন, আমার আহত সন্তানকে বাঁচাতে ব্যস্ত ও টেনশনে ছিলাম। হামলা ও ভাংচুরের ব্যাপারে কিছু জানিনা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন,
উভয়পক্ষের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি শান্ত
রয়েছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।