রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নভেল করোনা আক্রান্ত এক মৃত রোগীকে তথ্য গোপন করে লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসক,নার্সসহ ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (০৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে তীব্র শ্বাসকষ্টে রামেক হাসপাতালের সামনের রাস্তায় করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়। মৃত ঔই রোগীর নাম রবিউল ইসলাম (৪৫)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাববগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা গ্রামে। এসময় মৃত ব্যাক্তি করোনা পজিটিভ থাকার বিষয়টি গোপন করে হাসপাতালে থেকে তার পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স এবং একজন ওয়ার্ড বয়। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তা জানাননি পরিবারের সদস্যরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন। তাই হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহত রবিউল ঢাকায় থাকতেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়েছিল। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাধারণ রোগী হিসেবেই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। প্রথমে স্বজনরা জানাননি যে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এবং মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা জানিয়েছেন যে রবিউল করোনা পজিটিভ ছিলেন। রবিউল ইসলামকে স্বল্প পরিসারে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে তার জানাযা শেষে পারিবারকি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তথ্য গোপন করে রবিউলকে হাসপাতালে আনার কারণে অনেকেরই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এই কারনে রামেক হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।