শনিবার ৩০ মে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভিতরে হঠাৎ করে আগুনের উৎপত্তি। পুড়ে যাচ্ছে ঘরের আসবাবপত্র, দর্জা জানালার পর্দা ও কাপড়চোপড়। কিভাবে আগুন লাগছে, কোথা থেকে আগুন আসছে এবিষয়ে জানেনা কেউ। ফলে অদৃশ্য এ আগুনে বাড়িঘর পুড়ে যাবার আতংকে ভয়ে আছে পরিবারের সবাই।
কেউ বলছে এটা অলৌকিক আগুন, কেউ বলছে মিথেন গ্যাস থেকে সৃষ্ট আগুন৷ আবার কেউ বলছে এটা কোন ষড়যন্ত্রও হতে পারে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার পিক ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও ঘটনার বিষয়ে জানেনা ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন। তবে আগুনের রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগীতা চায় এলাকাবাসী।
আর এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ৩দিন ধরে ঘটেই চলেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমজীঞ্জের নাড়িকেলতলা এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র ইলিয়াজ হোসেন ধউলুর (৩৪) বাড়িতে। একই ঘটনা গত দুইদিন প্রতিবেশী জপির আলী (৫৫) ও আহাদ আলী (৫৩) এর বাড়িতে ঘটলেও পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এমনি একটি খবরের ভিত্তিতে শনিবার (৩০ মে) সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত তিনদিন ধরে দিনে ২-৩ বার ইলিয়াস হোসেন ধউলুর বাড়ির কাপড়, জ্বানালার পর্দা ও আসবাবপত্রে পত্রে হঠাৎ করে আগুন লাগে। কিভাবে আগুন লাগছে আর কে বা এ আগুন লাগাচ্ছে। অনেক অনুসন্ধান ও খোজাখুজি করার পরেও এর কোন রহস্য তারা উদঘাটন করতে পারেনি এলাকাবাসী। তবে ঐ পরিবারের কেউ যখন বাড়িতে থাকেনা ঠিক তখননি এ আগুনের ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান।
তবে কেউ কেউ বলছে এটা অলৌকিক আগুন অথবা মিথেন গ্যাস থেকে সৃষ্ট আগুন হতে পারে৷ আবার কেউ বলছে এটা কোন ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
ইলিয়াস হোসেন ধউলুর জানান, আমি পরিবার নিয়ে অজানা এ আগুনের ভয়ে আছি। জানিনা কখন এ আগুনে আমার বাড়িঘর সব পুড়ে যায়। এতে আমার শেষ সম্ভব সব পুড়ে গেছে আমি পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব। তিনি আরও জানান, আমরা ঘর থেকে বের হলে ঘরে ভিতরের কাপড়, খাটের পাসি ও দরজা জালানার পর্দায় আগুন লাগে। কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিলে তাতে আগুন লেগে পুড়ে যায়। তবে কি কারণে এসব হচ্ছে তা তিনি বলতে পারছে। তবে মাঝেমধ্যে মাটির উপরেও এমন আগুন জ্বলতে দেখা যায় বলে তিনি জানান।
প্রতিবেশী জপির আলী (৫৫) ও আহাদ আলীর (৫৩) সাথে কথা হলে তারা জানান, এর আগে আমাদের দুইভাইয়ের বাড়িতে দুইদিন ধরে একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এবিষয়ে কথা হলে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কেউ আমাদেরকে কিছু বলেনি। তবে আপনি যেহেতু বললেন আগামীকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানাব।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিনের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।