নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের গাছ কেটে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে স’মিলে পাঠনোর প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বৃহ¯পতিবার সন্ধায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। স¤প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গাছ কাটার নামে অনেক ভালো গাছও কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ইউপি সদস্য এখলাস হোসেন ও ইউপি সদস্যা আমিরন বেগম বক্তব্য দেন।
জানা গেছে, আড়বাব ইউনিয়নের লালপুর-আব্দুলপুর, সুন্দরগর, সালামপুর-গোপালপুর সড়কে স¤প্রতি ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া রাস্তার দুই পাশে লাগানো সরকারী গাছ গ্রাম পুলিশ দিয়ে কাটানোর পর কিছু গাছ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে রাখা হলেও দামিগাছ গুলো রাখা হয় সালামপুর বাজারের আতাউরের স’মিলে। বৃহ¯পতিবার দুপুরে আরো একটি শিশু গাছ ভ্যান যোগে আতাউর রহমানের স’মিলে পাঠালে স্থানীয় লোকজন গাছটি আটকিয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আড়বাব ইউনিয়নের সালামপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় শতাধিক লোকজন চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তারা ঐদিন রাতেই লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সমাবেশে বক্তব্যে তারা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আড়বাব ইউপির বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে বিক্রয় ও নিজ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরী করে আসছেন। স¤প্রতি আ¤পানের তান্ডবে লালপুর-আব্দুলপুর, সুন্দরগর, সালামপুর-গোপালপুর সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে পড়া ১৩টি শিশু গাছ টেন্ডারে বিক্রয় করার কথা বলে গ্রামপুলিশ দিয়ে কেটে নিকটস্থ আতাউরের কাঠমিলে বিক্রয়ের জন্য পাঠায়। এসময় স্থানীয় লোকজন রাস্তার গাছগুলি আটক করে।
পরে আব্দুলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।স’মিল মালিক আতাউর বলেন, ‘দুইটি শিশু গাছ আমার মিলে রাখা হয় তখন আমি মিলে ছিলাম না। তবে এই গাছ কে রেখেছে আমি জানিনা।’
অভিযুক্ত আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঝড়ে রাস্তার গাছগুলি উপড়ে পড়ে রাস্তায় জনসাধরণের চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিলো। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে তারা ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের মাধ্যমে রাস্তার গাছ গুলি কাটার নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের পরামর্শে আমার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুুলিশ দিয়ে গাছ গুলি কেটে ইউপি চত্বরে রাখার জন্য গ্রাম পুলিশদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনেক গাছ আনাও হয়েছে কিন্তু ঐ দুুইটি গাছ কাঠমিলে কে বা কাহারা রেখেছে তা আমার জানা নেই।
ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ‘ঝড়ে পড়া গাছগুলো ইউপি চেয়াম্যানের হেফাজতে থাকার কথা থাকলেও ডালপালাসহ ৮পিচ শিশুগাছ আতাউরের স’মিলে এবং ৩পিস শিশুগাছ ও ২ পিচ রেইনটি কড়ই গাছ স্থানীয় রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশে রাখা রাখা হয়েছে যা আমার জানার বাইরে ছিলো।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘আড়বাব ইউনিয়নের সড়কের গাছ কাটার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।