মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের শেখর ইজারা গ্রামে অভিনব কৌশলে একাধিক বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। একই এলাকায় অল্পদিনের ব্যবধানে একাধিক বাল্য বিয়ে সংঘটিত হয়েছে। বর পক্ষ অথবা কন্যা পক্ষ
শক্তিশালী থাকার কারণে কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে চায় না। তাই বাল্যবিয়ের মতো জগণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এই গ্রামটিতে। গ্রামের কিছু সচেতন মানুষ বার বার বাল্য বিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো ঐসব পরিবারকে বুঝানোর পরেও উক্ত পরিবার এইসবের তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে বাল্যবিয়ের মহোৎসব। বাল্যবিয়ে বন্ধের
দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখত অভিযোগ করেন স্থানীয় একজন সচেতন যুবক। এসব বিষয়ের সত্যতা জানতে স্থানীয় একাধিক লোকজন বলেন- বাল্য বিয়ে যাতে করে
আইনের চোখে ধরা না পরে সেই সকল দায়িত্ব পালণ করেন, বাল্যবিয়ের কারিগর হিসেবে এলাকাতে পরিচিতি পাওয়া কাজী শিব্বির আহমেদ।
আবার একাধিক সময়ে ভিন্ন কৌশল গ্রহন করেন, তিনি যাদেরকে বিয়ে পড়ান তাদেরকে কাবিননামা লিখিত আকারে প্রদান করেননা।
মৌখিক ভাবে কাবিন নির্দিষ্ট করে আকদ পড়িয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ একই ভাবে একটি বাল্য বিয়ে পড়ানো হয় গত ৮ মে রোজ শুক্রবারে। সরেজমিন গিয়ে এসব ঘঠনার সত্যতা পাওয়া যায়। ছেলের (লিটন) এর বাড়িতে বধু বেশেই মেয়েটিকে পাওয়া যায়,সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়েটি দৌড়ে অন্য ঘরে চলে যায়। স্থানীয়
কয়েকজন মহিলা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন- গত কয়দিন আগে লিটনের সাথে জোরপূর্বক একটি নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেন মেয়ের পরিবার এই বিয়েতে সম্মতি ছিলোনা ছেলের। পরে ছেলের অভিভবক ও মেয়ে পক্ষ মিলে কাজী শিব্বির আহমেদের পরোক্ষ সহযোগিতায় লিখিত কাবিন ছাড়াই বিয়ে পড়ানো হয়। এ বিষয়ে কাজী শিব্বির আহমেদের সাথে একাধিক বার মোটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি
এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন একপর্যায়ে তিনি বলেন “আমি এতেকাফে আছি ঈদের পরে যোগাযোগ করেন” বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমার খাতাপত্র অফিসে। দেখে বলতে হবে বলে মুঠোফোন
কেটে দেন। মুঠোফোনে কথা হয় লিটনের চাচা মকুল মিয়া তালুকদারের সাথে- তিনি বলেন “মেয়েটি লিটনের খোঁজে ঐদিন সকালে (শুক্রবার) লিটনের বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেই।
এরপর মেয়েটিকে সঙ্গে করে তার মা কয়েক বার লিটনের বাড়িতে আসে।
এবং সেখানে অবস্থান নেয় মেয়ে পক্ষের লোকজন। মেয়ে পক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়াতে আমরা ভয় পেয়ে তাদের কথা মানতে বাধ্য হই। আপার কাগাবালা ইউ পি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন বলেন- বিষয়টি জানা নেই।
তবে আমার চৌকিদারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি কাবিন হয়নি।