নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কয়েক মাসের অস্বাভাবিক ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে নেত্রকোনা পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতি বলছে অস্বাভাবিক এ বিদ্যুৎ বিল পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস কলমাকান্দা উপজেলার কোন বাড়িতেই পল্লী বিদ্যুতের কোন মিটার রিডার আসেনি রিডিং নিতে। করোনা ভাইরাস
পরিস্থিতি জনিত কারণে না আসার সুযোগ দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের মনগড়া ভাবে অসংখ্য গ্রাহকের বিল তৈরী করেছেন অস্বাভাবিক ও ভূতুরে।
বিগত কয়েক মাসে মিটারে রিডিং কম থাকলেও বিলের কাগজে তা বেশি লিখে গ্রাহকদের হাতে বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গ্রাহকরা এখন ক্ষোভে
ফুঁসে উঠেছেন।
কলমাকান্দা সদরের থানা রোড এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ফখরুল আলম খসরু বলেন, আমার নামে পূর্বে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল
আসতো ৫শ থেকে ৬শ টাকা। অথচ গত এপ্রিল মাসে তা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে বিল এসেছে ১ হাজার ৪শ টাকা।
একই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহক মো. খলিলুর রহমান বলেন, তার প্রতিমাসে বিল আসতো এক থেকে দেড় হাজার টাকা। কিন্তু প্রচন্ড লোডশেডিংয়ের চলতি
এই মে মাসে বিল এসেছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। এ যেন এক ভৌতিক কান্ড।
উপজেলার প্রায় ৪২ হাজার মিটারের মধ্যে কয়েকটি মিটারের সঙ্গে বিলের কাগজে লিখা রিডিংয়ে গড়মিল থাকার কথা ¯ী^কার করে কলমাকান্দা পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মো. আনিসুল হক বলেন, সামনের মাসগুলোতে ক্রমান্নয়ে তা সমন্বয় করে দেয়া হবে।