সুন্দরগঞ্জে ঝড় হাওয়ায় পাঁকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক ৮০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত বিনষ্ট

 গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়  ও অব্যাহত বৃষ্টি বাদলের কারণে পাঁকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। অবিরাম বর্ষণে ৮০ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছপালা, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি সাংসদ শামীমের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে তাৎক্ষণিকভাবে  সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ঈদের দিন সোমবার দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড় এবং অব্যাহত অবিরাম বর্ষণে পাঁকা ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক-কৃষাণীরা। নিচু এলাকার ধানক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। দিনমজুর সংকটে ক্ষেতের ধান কাটতে পারছে না কৃষক। অপরদিকে বৃষ্টির কারণে বাড়ির উঠানের জমানো ধান শুকাতে পারছে না। উভয় সংকটে কৃষক কুল। উপজেলার দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, তিনি ৩ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ির উঠানে নিয়ে আসলেও বৃষ্টির কারণে মাড়াই করতে পারছে না। যার কারণে তার ধান নষ্ট হতে যাচ্ছে। বেলকা চরের একরামুল হক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার ২টি ঘর পড়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলার বেলকা ডিগ্রী কলেজ, ছাপড়হাটী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড় এবং অবিরাম বর্ষণে ৮০ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈদ রেজা-ই মাহমুদ জানান, কালবৈশাখী ঝড় একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। এখানে আসলে মানুষের করার কিছু নাই। তিনি বলেন পাঁকা ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে ৮০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে।