নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের খনুয়া গ্রামের গ্রাম্য সরকারী পাকা রাস্তা কেটে পানি চলাচলের সুড়ং তৈরী করায় এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখো গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে রাস্তা
কেটে ফেলার চিত্রটি দেখা যায়। এ রাস্তাটি স্থানীয় এমপির বিশেষ স্কীম বরাদ্দে নির্মিত হয়েছে। পাকা রাস্তা কাটার বিরোধীতা করলে স্থানীয়দের অনেকে গাল-মন্দের শিকার হয়েছেন বলেও জানাগেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের খনুয়া গ্রামের জামির মড়লের পুত্র ফারুক মুন্সি (৪৫) নিজের মৎস্য চাষের পুকুরে পানি সরবরাহের জন্য এ সদ্য নির্মিত পাকা রাস্তাটি কেটে ফেলে। রাস্তার পাশেই তার
বসতবাড়ি। ঘরের পাশে সাবমারসিবল বসান তিনি। ওই পাম্পের পানি পুকুরের পাড় ঘেঁষে একটি ড্রেন করে পাকা রাস্তার নিচ দিয়ে সুড়ং করে। প্রতিদিন পানি এ ড্রেন দিয়ে বের হয়ে আসছে। ফলে পানির গতি বৃদ্ধি হওয়ায় সুড়ং গর্তটির আশপাশ বড় হয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় বেশ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দেবে যেতে পারে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে রাস্তা কাটার বিষয়টি নিয়ে ফারুক মুন্সির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাস্তার নিচ দিয়ে একটি পাইপ ডুকানোর
মতো ছিদ্র করেছি। এটাতো কোন দোষের নয় বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন প্রতিনিধিকে জানান, যদি কোন প্রয়োজনে রাস্তা কাটা বা সুড়ং করার দরকার হলে অবশ্যই আমাদের অনুমতি নিতে হবে। এ পর্যন্ত কেউ কোন অনুমিত নেয়নি। এমনকি এই প্রথম আপনার কাছ
থেকে বিষয়টি শুনলাম। রাস্তা কাটার বিষয়টি গুরুতর অন্যায়। আমি প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি,তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।