ভাঙ্গুড়া থেকে করোনা রোগীর পলায়ন

পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি পালিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের একটি পেপার মিলের শ্রমিক। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যাওয়া ঐ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত করে। বিষয়টি আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম নিশ্চিত করেছেন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল গ্রামের বাসিন্দা। এনিয়ে ভাঙ্গুড়ায় মোট ছয়জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হলো।
জানা যায়, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি পেপার মিলে কর্মরত রয়েছেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি নিয়ে ১২মে ভাঙ্গুড়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে এসে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করলে ১৪ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর তাকে বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে গত ১৮মে বাড়ি থেকে গোপনে আবারও নারায়ণগঞ্জে ফিরে যান। এঅবস্থায় আজ শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির করোনা আক্রান্তের ফলাফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ খবর নিতে গেলে এলাকা ছেড়ে পালানোর বিষয়টি জানতে পারে প্রশাসন।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লোকজন আসছে। স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রাম প্রধানরা এসব ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বললেও কেউই তা মানছেন না। এতে এলাকার মানুষদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। 
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষ নিজে সচেতন না হলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। এর উপর ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজন ভাঙ্গুড়া ফিরতে শুরু করেছে। তাদেরকে নিয়েও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছি। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বললেও অনেকেই মানছেন না। এখন সবাইকে একসাথে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে করোনার সংক্রমণ রোধ করতে হবে।