পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ভালো মানের চাল বিতরণ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ডিলাররা সুবিধাভোগীদের মাঝে ১০ টাকা কেজি মূল্যে এই চাল বিতরণ করেন। এর আগে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালে এক ধরনের দুর্গন্ধ ও সাদা পাউডারের মত আবরণ ছিল। যে কারণে সেই চালের ভাত খেতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন সুবিধাভোগীরা। এতে গত ১৩ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালে দুর্গন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই এই কর্মসূচিতে ভালো মানের চাল বিতরণ শুরু হয়। এতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার মোট ৬ টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৪৭ জন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পান। বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ১২ জন ডিলারের মাধ্যমে এই চাল বিতরণ করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে মে মাসেও এ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু চালে এক ধরনের দুর্গন্ধ ও সাদা পাউডারের মত আবরণ থাকায় সুবিধাভোগীদের খেতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তবে উপজেলা খাদ্য অফিস এর দাবি ছিল, ওই চালে পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিটামিন ও মিনারেল মিশ্রণ করা হতো। তাই চালে এক ধরনের গন্ধ ও সাদা পাউডারের মত আবরণ ছিল।
সুবিধাভোগী উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, আগে দেয়া চাল খেতে খুবই কষ্ট হতো। কিন্তু চলতি সপ্তাহের বিতরণ করা চাল অনেক ভালো মানের। এই চালে কোনো গন্ধ বা পাউডারের মত কোনো আবরণ নেই। এতে চাল খেতে আর অসুবিধা হচ্ছে না। সারা বছর এ রকম চাল দেয়া হলে আমরা অনেক উপকৃত হব।
পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ডিলার মোখলেসুর রহমান সাইদ বলেন, এর আগের বরাদ্দের চাল খেতে সুবিধাভোগীদের একটু অসুবিধা হলেও এখন আর হচ্ছে না। আগের চেয়ে চালের মান অনেক ভালো। সুবিধাভোগীরা এখন এই চাল পেয়ে খুব খুশি। উপজেলা খাদ্য অফিসের লোকজন সবসময় চেষ্টা করে আমাদের ভালো মানের চাল দিতে। কিন্তু অনেক সময় ঠিকাদারের মাধ্যমে চাল পেলে সেটার মানটা একটু খারাপ হয়ে যায়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি ভাল মানের চাল সরবরাহ করতে। কিন্তু চাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণের কারণে অনেক সময় মান কিছুটা নিম্নমুখী হয়। আর এর আগের চালে ভিটামিন ও মিনারেল মিশিয়ে পুষ্টিযুক্ত চাল তৈরি করায় এক ধরনের গন্ধ ও চালের উপরে সাদা পাউডারের মত আবরণ ছিল। তবে এবার সে ভিটামিন ও মিনারেল মিশ্রণ না করার কারণে চালে কোনো ধরনের গন্ধ বা পাউডারের আবরণ নেই।