মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সদর ইউনিয়নের সামনে
মোটরসাইকেল-টমটম সাইড দেওয়া নিয়ে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত
হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী মীর
হোসেন(৩২) ও তার মা তৌহিদা বেগম মিনু (৫৫)। তৌহিদা (মিনু) বেগমের অঙ্গ
(স্তন) হানির ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীরা
জানান, সোমবার (১৮ মে) বিকাল ৫টায় সিদ্দেক মিয়ার ছেলে ডাক্তার আশুতোষ
সিনহার সহকারি মোটরসাইকেল আরোহী মীর হোসেন (৩২) নুর মিয়ার ছেলে টমটম চালক
মনু মিয়া(২০) রাস্তার সাইড হওয়া নিয়ে দু’জনের মাঝে কথা কাটাকাটির ঘটনা
ঘটে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টমটম চালক মনু মিয়া প্রথম দফা মোটরসাইকেল
আরোহী মীর হোসেনকে আঘাত করে আহত করেন।
আহত
হওয়ার ঘটনায় মীর হোসেন থানায় অভিযোগ করে বিষয়টি ইউপি সদস্য সোলেমান
হোসেন ভুট্টকে জানালে, তিনি বিষয়টি তারাবির নামাজের পর দেখে দেবেন বলে
উভয়কে আশস্ত করেন।
পরে
ইউপি সদস্যেকে ঘটনাটি অবহিত ও থানায় অভিযোগ করার কারনে টমটম চালক মনু
মিয়া তার দলবল ধারালো অস্ত্র (দা, খুর) নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় দফা
রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজটিলা গ্রামের বাজারে মীর হেসেনের উপর অতর্কিত
আক্রমণ চালালে মীর হেসেন ও তার মা তৌহিদা (মিনু) বেগমসহ পরিবারের ৬জন
গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দায়ের ও খুরের কুপে মীর হোসেনের
জখম বেশী। তাছাড়া খুরের টানে মীর হোসেনর মা তৌহিদা (মিনু) বেগমের একটি
অঙ্গ (স্তন) প্রায় পুরোপুরি কেটে গেছে। ।
উক্ত
ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের আরো ২ জনসহ টমটম চালকের পক্ষের ৩জন আহত হন। কমলগঞ্জ
থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতরা
হলেন, মোটর সাইকেল আরোহী মীর হোসেন (৩২) আশংকাজনক, মীর হোসেনের মা তৌহিদা
(মিনু) বেগম(৫৫) আশংকাজনক, মির হোসেনের ভাই জাহেদুল ইসলাম (২৮), আমজাদ
হোসেন(২০), মির হোসেনের চাচাত ভাই আক্কাস মিয়া(৩৫), ইয়াছিন মিয়া(২৮)।
টমটম চালক মনু মিয়ার পক্ষের শাহাবুদ্দিন (৩২), সানুর(২৮), মনু (২০), ও ঘটনার নিরপক্ষ জাহাঙ্গীর (৩০), আজাদ মিয়া (৪৫) আহত হন।
আহতদের মাঝে ১জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়, বাকি সবাইকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ইউপি
সদস্য সোলেমান হোসেন ভুট্ট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন (রেকর্ড), আজকে
বিকেলে ইউনিয়ন অফিসের সামনে রাস্তা সাইড দেওয়া নিয়ে যে কথা কাটাকাটি ও
মারামারির ঘটনা ঘটে তা আমি জানতে পেরে তারাবির পরে বসে মিমাংসার কথাবলে
উভয়কে শান্ত থাকার কথা বলি। কিন্তু আমার কথা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দফা
সংঘর্ষের ঘটনায় আমি মর্মাহত।
কমলগঞ্জ
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ও
হামলায় জড়িত বারেক মিয়ার ছেলে বায়জিদ মিয়াসহ মোট ৪ জনকে আটক করা
হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাকি হামলাকারীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।নোট: ছবি সংযুক্ত।