কমলগঞ্জ পৌরসভার নছতপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর করা হয়েছে। এ
সময় তাদের হামলায় মঞ্জু মিয়া, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিল্পী বেগম, প্রতিবন্ধী মঈন মিয়া, মা ছয়ফুল বেগমসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মঞ্জুকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘঠনায় আজ ১৬ মে দুপুরে শাহজাহান মিয়া নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানার
পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মঞ্জুর পরিবারের লোকজন জানান – হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা অতৎকিত, যে কোন সময় আবারও
আমাদের উপর হামলা হতে পারে। আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেয়া
হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে
সিএনজিযোগে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার নছরতপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে
যাচ্ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুলের
আত্মীয়। গাড়িটি নছতপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে টিওবয়েল
মিস্ত্রী মঞ্জুর বসত ঘরের পাশ দিয়ে যাবার সময় তার ৪ বছরের শিশু
হাবিবকে আঘাত করে। এ নিয়ে সিএনজি চালকের সাথে মঞ্জুর কথা
কাটাকাটি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ সভাপতির আত্মীয়ও।
বাকবিতন্ডা আর গালাগালিতে মঞ্জুর উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। আহত মঞ্জুর
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, এই ঘঠনার জের ধরে শুক্রবার রাত
১টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল,
তার ভাই কমলগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শাহ নেওয়াজ রাসেল,
চাচাতো ভাই সজীব, তুহিন, তারেক, তোয়েল ও চাচা সাবেক যুবলীগ
নেতা শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মঞ্জুর বসত
ঘরে হামলা করা হয়। কমলগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন কর্ ে
এবং ঘঠনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক যুবলীগ নেতা
শাহজাহান মিয়াকে আটক করে। এ ব্যপারে জানতে চাইলে অভিযোগ
অস্বীকার করে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ
রিপুল বলেন- শুক্রবার বিকালে নিকট আত্মীয়কে নাজেহাল ও তাকে
বহনকারী সিএনজি চালককে মারধরের কারণ জানতে গেলে অনাকাঙ্খিত
ঘটনা ঘটলেও ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া এ সময়
তিনি বাইরে ছিলেন।