জেলায় মোট আক্রান্ত- ৫৬, সুস্থ্য- ৯, মৃত- ১

করোনা (কোভিড-১৯) নতুন আরও তিন জনসহ দিনাজপুর জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫৬জন। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলায় (কোভিড-১৯) পজিটিভ সংখ্যা সর্বমোট পূর্বে ৫৩ + ৩ (বর্তমানে) = ৫৬ জন এর মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ১১ জন মহিলা এবং ৩ জন শিশু।

গত বুধবার রাত ৮ টায় সিভিল সাজর্ন অফিসের তথ্য অনুসারে এই তিন জনের মধ্যে বিরল উপজেলায় ২ জন পুরুষ ও বীরগঞ্জ ্উপজেলায় ১ জন মহিলা। বিরলে এক জনের বয়স-৩৪ ৭নং ইউনিয়নের মাধববাটী গ্রামে এবং আরেক জনের বয়স-২৭ ৫নং ইউনিয়নে। বীরগঞ্জ উপজেলায় মহিলার বয়স ৪৩ বৎসর।
গত ২৪ ঘন্টায় ১০৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের পিসিআর-টি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে মোট ১২৮ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে এর মধ্যে ৩ টি করোনা (কোভিড-১৯) পজিটিভ আর বাকী ১২৫টি ফলাফল নেগেিেটভ।
অদ্যাবধি ল্যাবটেরিতে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ১৬২৮ টি এবং অদ্যাবধি ফলাফল পাওয়া নমুনার সংখ্যা ১৪০৫ টি।
সর্ব মোট ৫৬ জন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে (দিনাজপুর সদর- ১৪ জন, কাহারোল- ৭ জন, বোঁচাগঞ্জ- ৪ জন, ফুলবাড়ী- ১জন, পার্বতীপুর- ৫ জন, নবাবগঞ্জ- ৪ জন, ঘোড়াঘাট- ৪ জন, হাকিমপুর- ২ জন, চিরিরবন্দর- ১ জন, বিরল-৫ জন, বিরামপুর- ৪ জন ও বীরগঞ্জ- ৫ জন) মোট ১২টি উপজেলায় হয়েছে। বর্তমানে খানসামা উপজেলা করোনামুক্ত।
বর্তমানে বাড়ীতে চিকিৎসা নিয়ে দিনাজপুর সদরে ১ জনসহ মোট ৯ জন সুস্থ হয়েছেন তার মধ্যে সদরে-৪ জন, ফুলবাড়ী-১ জন, নবাবগঞ্জ-১ জন, পার্বতীপুরে-১ জন, কাহারোল-১ জন এবং বোঁচাগঞ্জে-১ জন। মৃত্যু বরন করেছেন ১ জন।
বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছে ৪২ জন এবং অদ্যাবধি এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি-৬ জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুসারে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬৭৮৬ জনের মধ্যে ৫৩০২ জন সুস্থ থাকায় অব্যাহতি পেয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাড়িছে ১৪৮৪ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে দিনাজপুর জেলায় ২০২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন গ্রহন করেছে। অদ্যাবধি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরিত হয়েছেন ২২৪ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি পেয়েছে ১৫৪ জন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৭০ জন।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ জানান, আর যারা ইতিমধ্যে নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে এসেছে এবং ইতিপূর্বে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল তাদের সন্দেহ হলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রায় সব আক্রান্ত পুরুষরগন ও মহিলাগন ঢাকা, গাজীপুর এবং নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে।