মৌলভীবাজারে লকডাউনের মধ্যেও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে শতাধিক শ্রমিক ও বিভিন্ন লোকজন শহরের সেন্ট্রাল রোড়, ভূমি অফিস এর সামনে আনন্দ বাজার মার্কেটসহ জেলা সদরের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটে এসে ভিড় করায় লোকজনদের মধ্যে করোনা ভাইরাস আতংক দেখা দিয়েছে। বেড়েই চলেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। একদিকে মার্কেটে বাড়ছে জনসমাগম, অপরদিকে, শারীরিক দূরত্ব মানছে না কেউ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটির ৪৯তম দিন চলছে। এর মধ্যেও নানান কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষজন যথাযথ শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। উল্টো সাবধানতা উপেক্ষা করে প্রতিদিনই বাইরে মানুষের সমাগম বাড়ছে। শহরের সেন্ট্রাল রোড়,পশ্চিম বাজার ও ভূমি অফিস সংলগ্ন আনন্দ বাজার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক ক্রেতা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেননা। ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি কোন জোড়ালো ব্যবস্থা। তাদের মতো আরও অনেকেই প্রতিদিন বাজারে এসে করোনা ভাইরাস নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক সচেতন মহল মনে করেন- শহরের আনন্দ বাজার মার্কেটসহ জেলা সদরের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন এসে ব্যবসা করায় এখন সব চেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত থাকলে তাদের মাধ্যমে অন্য লোক আক্রান্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মৌলভীবাজারে করোনা ভাইরাস মহামারি হিসাবে দেখা দিতে পারে। এ ব্যপারে জানতে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) বলেন- বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।