নাটোরে বড়াইগ্রামে হাঁস পালনে সফল অর্ধশত পরিবার

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের গুড়–ম শৌলে মোঃ আজিমপাটোয়ারী গ্রামে হাঁস পালন করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন। গুড়–মশৌল গ্রামের অর্ধশত পরিবার চিনাডাংগা পদ্মবিলে সারা বছর পানি থাকায় হাঁস পালনের সুযোগটা সহজে কাজে লাগিয়েছেন। হাঁসের বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হওয়ার কারণে পদ্মবিলে হাঁস চরাতে মাছচাষিদের কোনো আপত্তিও নেই।সরেজমিনে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নে চিনাডাংগা পদ্মবিলের পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, বড় একপাল হাঁস চরছে বিলের পানিতে। স্বাধীনভাবে বিলের পানিতে ঘুরছে ফিরছে-খেলছে। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে হাঁসগুলো সুন্দর-সুশৃঙ্খল সারিবদ্ধভাবে ডাঙায় উঠে বিলপাড়ে তাদের থাকার ঘরে (খামার) পৌঁছে যায়।মালিকপক্ষের লোক বেড়া ঘেরা জায়গায় তাদের খাবার খেতে দেয়। তারা সাধ্যমতো খাবার খেয়ে ঘরে উঠে। এটাই প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক বলে জানালেন হাঁসের মালিকপক্ষ। আজিম পাটোয়ারী জানান বর্তমানে তার ৩৫০ টি হাস রয়েছে তার মধ্যে থেকে ২৭০ টি হাঁস ডিম দিচ্ছে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা করে বিক্রয় করেন, ডিম বিক্রি করে তিনি মাসে ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন একই গ্রামে মহিন জানান ২৯০ টি হাস পালন করছে ১৭০ টি হাঁস বর্তমান ডিম দিচ্ছে তা বিক্রি করে সব কিছু খরচ বাদ দিয়ে মাসে ১৮০০ শত টাকা লাভকথা হয় হাঁস পালনকারী গুরুমণ্ডল গ্রামের মিলনের সঙ্গে। তিনি জানালেন তিনি সহ একই গ্রামের অর্ধশত পরিবার বছর ধরে এ বিলে হাঁস পালন করছেন। হাতের কাছে পদ্মবিলে হাঁস পালনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।তিনি আরো জানান এ সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি এক হাজার ৩০০টি হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি বাচ্চা হাঁস তাদের ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছিল।ওই হাঁসের দলে প্রয়োজনমতো নর (পুরুষ) হাঁস রেখে বাকি নর হাঁস বিক্রি করে দেন। বর্তমানে দলে ৪৬০ হাঁস রয়েছে।হাঁসগুলো প্রতিদিন তিন শতাধিক ডিম দেয়। প্রতিদিন সকালে ডিমগুলো ঘর থেকে কুড়িয়ে ডিম রাখার খাঁচিতে সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতিটি ডিমের দাম দেন ১২ টাকা। এ ছাড়া, হাঁসের বিষ্ঠা মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। এলাকার অনেক মাছচাষি হাঁসের বিষ্ঠা কিনে পুকুর কিংবা বিলে দেন।হাঁস পালনকারী যুবকেরা আরো জানান, হাঁস পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। পানিতে চরার মতো ব্যবস্থা থাকলে সেখানে হাঁস পালন করা যায়। অল্প পুঁজি নিয়ে হাঁস পালন করে বেকারত্ব ঘোচানো যায়। এতে লাভ অনেক বেশি। প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু জানান বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো হাস রয়েছে, ৫০ টি পরিবার হাঁস পালনের স¤পৃক্ত রয়েছে যার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো তিনি আরো জানান স্বাস্থ্যসম্মত জায়গায় হাঁস রাখতে পারলে হাঁসের রোগ কম হয়।হাঁস চাষীদের সুবিধাত্বে হাঁসের কলেরা ও ডার্কলেস রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ।