মাত্র ৬০০ মিটার কাঁচা রাস্তা প্রশস্ত ও পাকা করণ না হওয়ার কারণে ঈশ^রদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আট গ্রামের ২০ হাজার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা,কৃষি,ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছরের এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়,জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণ-স¦াক্ষরকৃত স্মারকলিপি প্রদান করেও কাজ না হওয়ায় মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোররা। সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ির বাবলারদাঁড়ি গ্রামে এসব কর্মসুচি পালন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা হাজি মোঃ নাসির উদ্দিন,সমাজ সেবক হাজি আব্দুল মজিদ,শিক্ষক মোন্তাজ মৃধা,শিক্ষার্থী খাদিজা,গৃহিনী সালমা বেগম বলেন, ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ির বাবলারদাঁড়ি গ্রামের ভোলার বাড়ি হতে আহমদের ঘাট পর্যন্ত ৬০০ মিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা প্রশস্ত ও পাকা করণ না হওয়ায় এই অঞ্চলের ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে ৭ কিলোমিটার ঘুরে চলাফেরা করতে হচ্ছে। সবজি উৎপাদনের প্রধান অঞ্চল হিসেবে এই অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বর্ষা মৌসুমসহ সব মৌসুমে যথাসময়ে বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে তাদের। এলাকার শিশু কিশোরসহ শিক্ষার্থীদের অনেক পথ ঘুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। প্রায়ই অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সঠিক সময়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়। প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু পথযাত্রী হতে হয়। অনেক দুর দিয়ে চলাচলের কারণে একাধিকবার শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, রাস্তাটি প্রসস্ত ও পাকা করণ করা হলে এই অঞ্চলের সঙ্গে আওতাপাড়া, বাঁশেরবাদা, দাশুড়িয়া, দাপুনিয়া, পাবনার হাট বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ঈশ্বরদী শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে যাবে। কৃষিপণ্য পরিবহনসহ নানাভাবে সময় ও আর্থিক সাশ্রয়সহ এলাকার উন্নয়ন ত্বরানিত হবে।