নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
চলমান করোনা সংকট এর প্রেক্ষিতে সংক্রামন ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়া সত্বেও দেশের অর্থনীতিকে সচল ও সাধারন ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকার গতকাল রবিবার থেকে লকডাউন তুলে দিয়ে সীমিত আকারে দোকানপাট খুলে সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রেক্ষিতে গতকাল ভবানীগঞ্জের বড় বড় হাট বাজারের লোকানপাট গুলো খুলে দেওযা হয়। সকাল ১০ থেকে বিকালে ৪টা পর্যন্ত এসব দোকানপাট খোলা রাখা হয়। তবে এসব দোকানপাটের কেনাকাটাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি। সরেজমিন এলাকাঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল ১০ টা থেকে এসব দোকান পাট খুলে দেওয়া হয়। এ সময় দোকান পাট গুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের ভিড় ছিল মাত্রাতিরিক্ত। দোকানগুলোতে কেনা কাটার সময় মহিলা ক্রেতারা ৩ ফিট দূরত্ব তো দূরের কথা তারা ৩ ইঞ্চি দূরত্ব রক্ষা করেনি। মহিলারা গাদাগাদি করে দেকানে ঢুকে এবং গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে থাকে। তাহেরপুর ভবানীগঞ্জ মচমইল ও হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে এসব অতিরিক্ত ভিড় লক্ষ করা যায়। গতকাল রবিবার ভবানীগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল মাকের্টে গিয়ে দেখা যায় সেখানে মহিলা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ওই মার্কেটের এমরান বস্ত্রালয় ও সরদার আবরনী সহ বেশ কিছু দোকানে মহিলা ক্রেতাদের এক সাথে গাদাগাদি করে কাপড় ক্রয় করতে দেখা যায়। এছাড়া এই বাজারের বেশ কিছু টেইলারিং হাউজ সহ অন্যান্য কসমেটিক্্র দোকানগুলোতেও ছিল একই রকম উপচেপড়া ভিড়। রবিবার এই ভবানীগঞ্জ বাজার ছাড়াও তাহেরপুর মচমইল ও হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে ঈদ কেনা কাটায় ছিল একই রকম ভীড়। এসব হাটাবাজারের কোথাও মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। এসব বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, আমি নিজেই গতকাল দুটো বাজার পরিদর্শন করে হতাশ হয়েছি। কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, মার্কেট গুলোতে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধির অন্যান্য নিয়মগুলো মানা হচ্ছে একেবারে নগন্য ভাবে। এসব অনিয়ম দূর করতে অচিরেই ওই সব বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।