নাজিম হাসান, রাজশাহী থেকে:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সাজুড়িয়ার যশের বিলে আব্দুস সালাম প্রামানিক (৪৫) নামের এক পুকুর পাহারাদারকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখেগেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। নিহত আব্দুস সালাম প্রামানিক উপজেলার দক্ষিণ সাজুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাধু প্রামানিকের ছেলে। এ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে (৯ মে) শনিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে। এসময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। আটককৃরা হলেন,দক্ষিণ সাজুড়িয়া গ্রামের পুকুর মালিক মুনির উদ্দিন সরদারের ছেলে শুভ সরদার (২৮),মামুনুর রশিদ বাবলুর শাহ’র ভাই রস্তম আলী শাহ (৪৫),পুকুর পাড়ের মাটি কাটা কাজের লোক মো: আব্দুল সেলিম (৪২) ওগোয়ালকান্দি গ্রামের সামাদ আলীর মেয়ে শিরিনা (৩৫) কে আটক করা হয়। এলাকা সুত্রে জানাগেছে,শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০ টার দিকে আব্দুস সালাম নিজ বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে যশের বিলের মধ্যে তামলি সোবহান,মুনির উদ্দিন সরদার ও মামুনুর রশিদ বাবলুর শাহ’র পুকুরে পাহারা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এবং দুর্বৃত্তরা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পুকুর পাড়ের একটি ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। এরপর গতকাল রোববার সকালে খবর পেয়ে বাগমারা থানার (ওসি) আতাউর রহমান,এস আই লুৎফর রহমান,এস আই মোসলেম,এস আই মুনিরুল ইসলাম ও তাহেরপুর পুলিশ ফাড়ির এস আই রাসেলসহ বেশকেছু পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এবং বেলা ১২টার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এলাকাবাসি জানান,দক্ষিণ সাজুড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম যশের বিলে কয়েকটি পুকুরের প্রায় তিন বছর যাবৎ পুকুর পাহারাদারের কাজ করে আসছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাহারা দেবার উদ্যেশে যাবার সময় পথের মধ্যে কেবা কাহারা তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে পুকুর পাড়ের একটি ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। গতকাল রবিবার সকালে এলাকার লোকজন আব্দুস সালামের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বাগমারা থানায় খবর দিলে পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে। তবে এলাকাবাসীর ধারণা গোয়ালকান্দি গ্রামের সামাদ আলীর মেয়ে শিরিনার সাথে সালামের অবৈধ সর্ম্পক ছিলো। আর এই কারণে তাকে পূর্ব কল্পিত ভাবে হত্যা করা হতে পারে। এবিষয়ে থানার (ওসি) আতাউর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় ৩০৩ এর ধারায় হত্যা মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।