শেষ হলো চলনবিলের ধান কাটা। নিজ গৃহে ফিরে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শ্রমিকরা। যাবার আগে প্রত্যেক শ্রমিককে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী। কৃষকদের উৎসাহ দিতে ওই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ
করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চলনবিলে ধান কাটতে আসা প্রায় ১০০ জন শ্রমিকের মাঝে ওই পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
শুক্রবার সকালে সরেজমীনে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিল বিলশা মাঠে গিয়ে দেখাযায়, শ্রমিকরা বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। প্রত্যেক শ্রমিকের মুখে দেখাযায় মৃদু মৃদু হাঁসি। এ বছর চলনবিলে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে শ্রমিকরা। পেয়েছে প্রতিদিন শুকনো খাবার, থাকার জন্য পেয়েছেন সুন্দরবাসস্থান,পেয়েছেন সার্বিক নিরাপত্ত্বা। প্রত্যেক শ্রমিকের হাতে
দেখাযায় উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া উপহার সামগ্রীর একটি করে ব্যাগ।
এ বছর চলনবিলে এসে ব্যপক উৎসাহ নিয়ে ধান কেটেছে শ্রমিকরা।
কথা হয় পাবনা জেলার চাটমোহর থেকে আসা কৃষক জয়নালের সাথে।
তিনি জানান, এ বছর চলনবিলে ধান কাটতে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এর আগে কখনও কোন জায়গায় এই রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি। চলনবিলে এসে বাসস্থান থেকে শুরু করে সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ধান কাটা শেষে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী পেয়ে ভাল লাগছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন জানান, কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করার জন্যেই তাদের মাঝে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী
দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় ১০০ জন কৃষকের মাঝে ওই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আরোকিছু সংখক কৃষকের মাঝে ওই উপহার সামগ্রী দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।