যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছালত হোসেন (৫৫) নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
তিনি মারা গেছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য। বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
আছালত ঝিনাইদহ জেলা সদরের গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত শমসের মণ্ডলের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ জেলার নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায়
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিনকান্তি খান বলেন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে হোসেন আছালত নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
ওই বন্দিকে ২০০৮ সালের ১৮ মে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহের আদালত জিআর ৩১/০৬ মামলায় তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন। আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। পরে হাইকোর্ট মামলাটি পর্যালোচনা করে
মৃত্যুদণ্ডের বদলে তাকে যাবজ্জীবন কারাভোগের আদেশ দেন। এর পর থেকে আছালত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে (কয়েদি নম্বর ৭৩৩০/এ) ছিলেন।
জেলার বলছেন, গত ৪ মে রাত নয়টার দিকে আছালত হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তখনই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু
অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই আছালতকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আছালতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নার্গিস আলম মৃত্যুর খবর শুনে মরদেহ নিতে যশোর এসেছেন। তিনি দাবি করেন, একটি মিথ্যা মামলায় আছালত কারা ভোগ করছিলেন।