বগুড়ায় সোমবার স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুই নারীর শরীরে ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন সোমবার রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য কর্মীসহ দুজনই বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আক্রান্তদের একজন মোহাম্মদ আলী হাসপাতলের স্বাস্থ্য কর্মী। ৪৬ বছর বয়সী ওই নারী প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই প্রাতিষ্ঠানিক কেরায়ারেন্টাইনে আছেন। আর ২৫ বছর বয়সী অপর নারী এক করোনা রোগীর দেখভালকারী হিসেবে গত ২১ এপ্রিল থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালেই রয়েছেন। এই দুই নারীকে নিয়ে বগুড়ায় করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা একুশে দাঁড়ালো। সোমবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার নমুনা ছিল ১০২টি। আর বাদবাকী ৮৬টির মধ্যে জয়পুরহাটের ৮৫টি আর একটি সিরাজগঞ্জের। ওই দু’টি জেলার সবগুলো নমুনাই নেগেটিভ এসেছে। বগুড়ায় করোনা আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাদের সেই নারী স্বাস্থ্য কর্মীকে এক সপ্তাহ আগে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় গত ২ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জফেরত জেলার আমদীঘি এলাকার এক ট্রাক চালক গত ২১ করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাকে ওইদিনই মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়।হাসপাতালে তাকে দেখভালের জন্য তার স্ত্রী ও তারই বাসার ২৫ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীও সঙ্গে আসেন। পরে ওই চালকের স্ত্রী এবং সেই গৃহকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর (শজিমেক) ল্যাবে পাঠানো হয়। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, সেই চালকের স্ত্রী করোনা নেগেটিভ হলেও তার গৃহকর্মীর পজিটিভ এসেছে। তিনি বলেন, যেহেতু আক্রান্ত দুই নারী মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাই আমরা ধারণা করছি সেখান থেকেই তারা সংক্রমিত হয়েছেন।