মৌলভীবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারনের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য “হেন্ড ওয়াস বেসিন” নির্মাণ করলেও পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে পরিকল্পনাটি ভেস্তে যাচ্ছে। মৌলভীবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকেীশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রতিটি হেন্ড ওয়াস বেসিন নির্মাণ ব্যয় ২৮ হাজার টাকা হিসাবে ২২টি হেন্ড ওয়াস বেসিন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে প্রোঃ কামরুল ইসলাম‘র জীবন এন্টার প্রাইজ। গত ২৮ এপ্রিল “হেন্ড ওয়াস বেসিন” নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে জেলা সদরের উপজেলা পরিষদের সামনে, সেন্ট্রাল সড়কস্থ ভূমি অফিসের সামনে, কুসুমবাগ, হাসপাতালের সামনে ২টা, চাঁদনীঘাট বাজার এলাকায় ও একাটুনা ইউনিয়নে ১টি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়েই পথচারীরা সাবান হাতে লাগিয়ে পানি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। জনস্বাস্থ্য প্রকেীশল অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এমন প্রশংশনীয় উদ্যাগকে স্বাগত জানালেও পরিকল্পিত পানির ব্যবস্থা না থাকায় “নামে তাল পুকুর, কাজে ঘটিও ডুবছেনা” বলে মন্তব্য করেন পথচারীরা। একাধিক লোকজন জানান- পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে হেন্ড ওয়াস বেসিন কোন কাজেই আসছেনা। এখানে অতি দ্রুত পরিকল্পিত ভাবে পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবী জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকেীশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব উদ্দিন আহমেদ বলেন- জনস্বাস্থ্য প্রকেীশল অধিদপ্তরের নির্দেশনায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে জনসাধারনের জন্য “হেন্ড ওয়াস বেসিন” নির্মাণ কাজের অংশ হিসাবে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪টি “হেন্ড ওয়াস বেসিন” নির্মাণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস এ লকডাউন থাকার কারণে অনেক জায়গায় পানির ব্যবস্থা করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় ( ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত) পানির ব্যবস্থা রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রম চালু করার কারণে পানির ব্যবস্থাটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি, জনসাধারণের পানির সমস্যা দুর করার জন্য।