ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কলেজে অনুপস্থিত থাকার কারণে ৩০ জন কর্মচারীর ২ মাস যাবত বেতন বন্ধ রয়েছে। মাষ্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারীরা করোনা পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাড়িতে মজুদ খাদ্যসামগ্রী ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। হাতে নগদ টাকা না থাকায় এই পরিস্থিতিতে কেউ ধার বা বাকী দিচ্ছে না। এই অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে তীব্র কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
জানা যায়, এসব কর্মচারীর বেতন শীটে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নেয়া সম্ভব না হওয়ায় বেতন বন্ধ রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এবং উপাধ্যক্ষ জাকিরুল হক করোনার কারণে কলেজে আসছেন না। স্থানীয় না হওয়ায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঢাকায় অবস্থান করছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের পক্ষে ঢাকায় যেয়ে স্বাক্ষর আনা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি জানান, ফেব্রæয়ারী মাসে কলেজের জমি অধিগ্রহন নিয়ে ঝামেলার পর হতেই অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কলেজে আসেন না। কর্মচারীরা এর আগে ঢাকায় যেয়ে বেতন সীটে স্বাক্ষর করিয়ে এনেছিল। করোনার কারণে এখন ঢাকায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বেতন বন্ধ থাকায় মাষ্টার রোলের কর্মচারীরা চরম কষ্টে রয়েছেন।
এব্যপারে মোবাইলে অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ ফোন করেননি।