মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের আনিকেলী বড় গ্রামে অবশেষে মেরাজ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে মডেল থানার পুলিশ। এ ঘঠনায় ঘাতক ছোটভাই বধরুলকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক লোকজন জানান- আলতা মিয়ার বড় ছেলে মেরাজ মিয়া (৪৫) প্রায় ১২ বছর আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশ্রিদোন এলাকায় বিয়ে করেন। তাদের সংসারে প্রায় ১০ বছরের এক কন্যা ও ৬/৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের ৩-৪ বছর পর থেকে মেরাজের আপন ছোট ভাই বদরুলে সাথে তার স্ত্রী আবেদা বেগম ( দেবর-ভাবী‘র পরকীয়া রয়েছে এমন গুঞ্জন উঠে। এ নিয়ে একাধিক বার পারিবারিক ভাবে বিচার সালিশ হয়েছে কিন্তু সকল বাঁধা উপেক্ষা করে চলতে থাকে দেবর ভাবির রঙ্গলীলা।
তাদের এই অবাধ মেলামেশা এতটাই বেপরোয়া ছিলো দিন কি রাত যেকোনো সময় একটু ফাঁকা পেলেই লিপ্ত হতো তাদের নির্লজ্জ কর্মে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন- আজ থেকে প্রায় ৫ দিন আগে মেরাজের স্ত্রী আবেদা বেগম মেরাজকে ঘুমে রেখে পাশের রুমে তার ছোট ভাই বদরুলের রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে তার নিজ বাড়ি ও আশপাশের বাড়ির লোকজন এসে তাদেরকে অবৈধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেরাজের সাথে তুমুলঝগড়া হয় তার । এ ঘঠনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী আবেদা চলে যায় তার বাবার বাড়ি আশ্রীদোনে। সর্বশেষ গত ১ মে বাড়ীর পর্শ্বে একটি খালে থেকে মেরাজের পরিত্যক্ত মৃতদেহ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে মডেল থানার পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ সুত্রে জানা গেছে- মেরাজ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে তার ৪ ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায়
নেয়া হলে মেরাজের ছোট ভাই বদরুল এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে দায় স্বীকার করে। এবং মেরাজের স্ত্রীর সাথে বদরুলের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করে। পরকীয়ার কারণেই মেরাজকে সে হত্যা করে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- আজ ২ মে এ ঘঠনায় নিহত মেরাজের মামা বাদী হয়ে ঘাতক বধরুলসহ অঙ্গাতনামা ৩-৪জনকে আসামী করে
মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিমল চন্দ্র দেব ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- এ ঘঠনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং নিহত মেরাজের ছোট ভাই বধরুলকে আটক করা হয়েছে।